হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :: কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ইউনিসেফের চারটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় স্কুলঘরে কেউ ছিল না বলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় ১০ লাখ লোকের বসবাস্থল রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, তিনি মনে করেন ইচ্ছা করে কেউ আগুন লাগায়নি। স্কুলগুলো পাতলা দাহ্য উপকরণ দিয়ে তৈরি বলেই হয়ত এমনটা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা তদন্ত করছি। তবে আমরা মনে করি এটি একটি দুর্ঘটনা। এই কেন্দ্রগুলি স্থায়ী কাঠামো নয়।”
যদিও গত সপ্তাহে আগুন লেগে শত শত বাঁশের খুপড়ি ঘর পুড়ে যায়। যার ফলে মিয়ানমার থেকে আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মাথা গোঁজার ঠাই হারায়।
তবে ইউনিসেফ ঘটনাটিকে অগ্নিসংযোগ বলে উল্লেখ করে এক টুইটার বার্তায় বলেছে, হামলার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে স্কুলের স্থাপনাগুলো পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে তারা অংশীদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে করোনাভাইরাস মহামারি আসার আগে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু পড়াশোনা করতো। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়। তবে আগামী মাস থেকে আবার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ক্যাম্পে বিবদমান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন নিহত এবং অনেক বাড়িঘর আগুনে নষ্ট হয়।
Posted ৮:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy