কক্সবাংলা ডটকম(৪ আগস্ট) :: গত ৮ জুন আচমকা কেন নিজের বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে জীবন শেষ করে দিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের সাবেক ম্যানেজার দিশা, তা নিয়ে জোরদার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দিশার মৃত্যুর ৬ দিনের মাথায় সুশান্ত সিং রাজপুত যখন আত্মহত্যা করেন, সেই সময় মুম্বাই পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়,সাবেক ম্যানেজারের আত্মহত্যার সঙ্গে অভিনেতার আত্মহত্যার কোনও যোগ নেই।
মুম্বাই পুলিশের ওই দাবির পর, অভিনেতার ল্যাপটপ ও মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখান থেকে জানা যায়, আত্মহত্যার আগে গুগলে দিশা সালিয়ানের নাম নিয়ে খুঁজে দেখে সুশান্ত।
সুশান্ত কেন দিশার মৃত্যুর খবরে এত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে এবার নেমে পড়েছে বিহার পুলিশ। এমনকি, দিশার আত্মহত্যার সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর যোগ রয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এসবের মাঝে এবার প্রকাশ্যে এল দিশা সালিয়ানের একটি ভিডিও। যেখানে আত্মহত্যার ২ দিন আগে দিশাকে রেশমি দেশাই, গুরমিত চৌধুরীদের সঙ্গে নাচতে দেখা যায়। দিশা সালিয়ানের ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। দিশার মতো একজন হাসিখুশি মেয়ে কেন আচমকা আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে ফের সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
যদিও দিশার মা দাবি করছেন, সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে তার মেয়ের আত্মহত্যার কোনও যোগ নেই।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল বিহার সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানান, মঙ্গলবার সকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন ডিজিপি। এরপরই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত ভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয় প্রয়াত অভিনেতার পরিবারকে।
সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পাটনার রাজীব নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা কৃষ্ণ কিশোর সিং। সুশান্তকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়া, জোর করে অর্থ আদায় সহ ১৬ দফা অভিযোগ নিয়ে রিয়াদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন কে কে সিং। রিয়ার পাশাপাশি তাঁর বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই সৌভিক চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রীর প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তের খাতিরে মুম্বইতে পৌঁছনোর পরই বিহার পুলিসের তদন্তকারী অফিসারকে জোর করে কোয়ারেন্টিন করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিএমসির তরফে জানানো হয়, বিহার পুলিসের ওই আইপিএস ঘরোয়া বিমানে করে মুম্বইতে পৌঁছেছেন। তাই নিয়ম মাফিকই তাঁকে কোয়ারেন্টিন করা হয়। যদিও বিহার পুলিসের ওই তদন্তকারী অফিসার দাবি করেছেন, কোয়ারেন্টিন থাকা অবস্থাতেই তিনি তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
Posted ১:৩৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy