কক্সবাংলা ডটকম(১০ জুলাই) :: পাকিস্তান, চীন ও অন্যান্য দেশকে মোকাবেলা করতে সাম্প্রতিক অতীতে ভারত দেশে বেশ কিছু ক্ষেপনাস্ত্র, আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা সিস্টেম তৈরি করেছে।
দেশে তৈরি ভারতীয় ক্ষেপনাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপনাস্ত্র ‘আকাশ’। একে হামলা চালানো ও আত্মরক্ষার জন্য অত্যন্ত চমৎকার ক্ষেপনাস্ত্র বলে মনে করা হয়। ডিআরডিও’র তৈরি এই ক্ষেপনাস্ত্র ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে কোন এয়ারক্রাফটকে টার্গেট করতে পারে এবং এটি ১৮,০০০ মিটার উচ্চতায় উঠে জঙ্গিবিমান, ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল এবং এমনকি ব্যালিস্টিক মিসাইল পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
এ মিসাইল সিস্টেমের হৃদয় হলো ভারতের রাজেন্দ্র পিইএসএ রাডার সিস্টেম, যাতে থ্রিডি টার্গেট ডিটেকশন, মাল্টি-টার্গেট ট্রাকিং ব্যবহার করা হয়েছে। তীব্র যুদ্ধের মধ্যে উৎক্ষেপনের জন্য রয়েছে মাল্টিপল গাইডেড মিসাইল। শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ জোরে ছুটতে পারে আকাশ এবং যে কোন উচ্চতায় এই গতি একই থাকে।
ভারতের নিজস্ব তৈরি আরেকটি ব্যবস্থা হলো ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। মূলত পাকিস্তান ও চীন থেকে আসা ব্যালিস্টিক মিসাইল বাধাদান ও প্রতিরোধের জন্য এই সিস্টেম তৈরি করা হয়।
এটি একটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থা। একটি হলো পৃথিবী এয়ার ডিফেন্স মিসাইল। এটা ৫,০০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসা যেকোন মিসাইলকে আকাশে বাধা দেবে। আর দ্বিতীয়টি নিম্ন উচ্চতার মিসাইলকে বাধা দেয়ার জন্য। এটা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা মিসাইল বাধা দিতে পারবে। ভারতের মিসাইল গার্ডিং সিস্টেম রয়েছে। আর যাদের এই ব্যবস্থা রয়েছে তারা হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইসরাইল।
ভারতের আরেকটি যে চমৎকার মিসাইল রয়েছে সেটি হলো ব্রহ্মস। জল, স্থল ও আকাশ যেকোন স্থান থেকে এটি ছোঁড়া যায়। রাশিয়া ও ভারত যৌথভাবে এই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করেছে। বর্তমান বিশ্বে অপারেশনে থাকা সবচেয়ে দ্রুতগামী মিসাইল এটি। ভারত আরো শক্তিশালী ব্রহ্মস-টু ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির চেষ্ট করছে।
অগ্নি-৫ নামে ৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত। এটি ১,৫০০ কেজি পর্যন্ত প্রচলিত ও পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহন করতে সক্ষম। দূরপাল্লার এই গাইডেড মিসাইলে একটি রিং লেজার জাইরোস্কোপ ও ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন সড়ক বা রেলপথে এটি পরিবহন করা যায়।
সম্প্রতি ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে নিজস্ব তৈরি তেজাস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট যুক্ত হয়েছে। এই এয়ারক্রাফট দৃষ্টিসীমার মধ্যে বা দৃষ্টিসীমার বাইরে এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল নিক্ষেপের ক্ষমতা রাখে। এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল ও বোমা বহন করতে পারবে এগুলো।
এসবের বাইরে নিজস্ব অর্জুন মার্ক-টু ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আরো তৈরি করেছে পিনাকা নামে মাল্পিপল রকেট ল্যান্সার। মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে ১২টি রকেট ছোঁড়া যায় এই ল্যান্সার থেকে এবং ৩.২ কিলোমিটার দূরের টার্গেট ধ্বংস করা যায়।
Posted ৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy