কক্সবাংলা ডটকম :: দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৫ দিনের মধ্যে আরেকটি রেকর্ড ভেঙে ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কয়েকদিন পরপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে যাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার বলেন, ‘এই প্রথম বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর এই মজুত ৪২ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ডে উন্নীত হয়েছিল।’
বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। ডিসেম্বরের ১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল এক হাজার ৫৯৭ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূলত করোনাভাইরাসের ধাক্কায় অর্থনীতিতে সৃষ্ট নেতিবাচক অবস্থার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় রিজার্ভ বাড়ছে।প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি এসেছে। তবে করোনার পরে তাতে নতুন মাত্রা দেখা দিয়েছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি হয়। করোনা মহামারির ধাক্কা না থাকলে যা ৬০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যেত।
আমদানি ব্যয় হ্রাসের সঙ্গে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা কাজে যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো, তা এই সময় হয়নি। এটিও মজুত বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম মাইলফলক। নতুন একটি বছরের শুরুতে অবশ্যই এটি অত্যন্ত সুখকর ঘটনা।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সেই সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy