কক্সবাংলা ডটকম(২ নভেম্বর) :: মন্ত্রিপরিষদ সচিব অবসরে যাচ্ছেন ১৪ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব অবসরে যাচ্ছেন ৩১ ডিসেম্বর। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ১১ জন সচিব অবসরে যাচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে সচিবালয়ে বড় ধরণের পরিবর্তন আসছে। বিসিএস (প্রশাসন) ৮৬ ব্যাচের কর্তৃত্বে এখন সচিবালয়।
আগামী বছরের শুরুতে এই কর্তৃত্ব নবম ব্যাচের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। যে ১১ জন সচিব আগামী জানুয়ারির মধ্যে বিদায় নেবেন তারা হলেন:
১. মো: আসাদুল ইসলাম, সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ। তিনি আগামী ১৪ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
২. শ্রী সুবীর কিশোর চৌধুরী, চেয়ারম্যান (সচিব), বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল। তিনি অবসরে যাবেন ১২ জানুয়ারি।
৩. দিলওয়ার বখত, সচিব দুর্নীতি দমন কমিশন অবসরে যাবেন আগামী ১৭ ডিসেম্বর।
৪. মো: মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।
৫. আবুল কালাম আজাদ, সদস্য (সচিব) পরিকল্পনা কমিশন। তিনি আগামী ৫ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
৬. মো: সেলিম রেজা, সচিব, রেলপথ মন্ত্রনালয়। তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন।
৭. মো: আলী নূর, সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। আগামী ৪ জানুয়ারি তিনি অবসরে যাবেন।
৮. ড: সুলতান আহমেদ, সচিব বিদ্যুৎ বিভাগ। চলতি মাসের ১৫ তারিখে এই সচিব অবসরে যাবেন।
৯. মো: ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, চেয়ারম্যান (সচিব) ভূমি সংস্কার বোর্ড। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, যাদের অবসরে যাওয়ার কথা, তাদের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ছাড়া আর কারো চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের সম্ভাবনা খুবই কম। এর ফলে প্রশাসনের প্রকৃতি এবং ধরণও পাল্টে যাবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর তিনি শেষ অফিস করবেন। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর তাকে ২২ তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এরপর ডিসেম্বরে তার চাকরির মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তাই নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কে হবেন এটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদ সরকারের সবচেয়ে জেষ্ঠ্যতম কর্মকর্তাকেই দেয়া হয়। সব আমলে সব সরকার এই রীতি অনুসরণ করে আসছে।
এই বিবেচনা থেকেই নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কে হবেন সেই আলোচনায় দুজনের নাম এসেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের নাম।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র দেড় মাস। অন্যদিকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের চাকরির মেয়াদ আছে প্রায় দেড় বছর। এই বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের সম্ভাবনা বেশি বলে অনেকেই মনে করছেন।
তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগেও খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে যখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব করা হয় তখনও তার চাকরির মেয়াদ দুমাস থাকা অবস্থায় তাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করা হয়েছিলো।
কাজেই চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়া না হওয়া কোনো বিবেচ্য বিষয় নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।