আব্দুল হামিদ,জয়নাল আবেদীন টুক্কু,হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(২০ জানুয়ারী) :: পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী জনপদ দোছড়ি ইউনিয়নে বাকঁখালী লংদুর মুখ থেকে ৪ তামক চাষিকে অপহরণ করে, আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারী) ভোরে নিজ নিজ খামার বাড়ি থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ী স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এ সময় পার্শ্ববর্তী মনজুর আলম, কামাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও নুরুল আলমসহ ৪ বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে তাদের খামার বাড়িতে রক্ষিত মালামল ও খাবার সামগ্রী নিয়ে যায় অপহরণ কারীরা। সন্ত্রাসীদের মরধরে গুরতর আহত আরো দুই ব্যক্তি অপহরণ কারির কবল থেকে পালি রক্ষা পায়।
পরিবারের সুত্র জানা যায় অপহৃতেদর পরিবারের কাছ থেকে মোবাইলে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছে বলে জানান স্থনীয়রা।
অপহৃতরা হল- গর্জনিয়া পূর্ব বোমাংখীলের (মাঝিরকাটা) আলী মদনের ছেলে আবু ছৈয়দ, থোয়াঙ্গীরকাটার নুরুল আলমের ছেলে আবদুল আজিজ, আবদুর রহমানের ছেলে মোঃ রহিম এবং থিমছড়ির রশিদ আহমদের ছেলে শাহ আলম।
আহতরা হলেন বাইশারী নারিচ বুনিয়ার নুরুল আলম ও পূর্ব বোমাংখীলের গিয়াস উদ্দিন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন ধরে লদুর মুখ এলাকায় ধান ও তামকের চাষাবাদ করে আসছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে সেখানে উপজাতী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী তৎপরতা চালাচ্ছে। নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও বাঙ্গালী ডাকাতদল ও সেখানে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা যায়।
দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহজ্ব মোঃ হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছে একালাবাসী। সেই সাথে ওই এলাকায় নিয়মিত সেনাবাহিনীর টহল জোরাদার করার দাবি জানায় তারা।
অন্যথায় পাহাড়ি জনপদে আবারও আইন শৃংখলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এদিকে অপহরনের খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। নইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ জানান উদ্ধারে তৎপরতা চালছে।
Posted ৩:৪১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy