কক্সবাংলা ডটকম(১৮ আগস্ট) :: সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)।
বহুজাতিক ব্যাংকটি বলেছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের কার্যক্রম সাম্প্রতিক সময়ে আকর্ষণহীন হয়ে পড়েছে।
অথচ এ দেশের শেয়ারবাজার ভারত ও ভিয়েতনামের মতোই সম্ভাবনাময় এবং বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণের দাবি রাখে।
ইক্যুইটি বা মূলধন বাজার নিয়ে গত বুধবার প্রকাশিত এইচএসবিসির এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা দরকার। ২০২০ সালের পর শেয়ারবাজারে মাত্র চারটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এইচএসবিসি বলেছে, কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা গড়ে ২০ শতাংশের মতো বাড়তে পারে।
তবে ব্যাংকটি মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী ধারা, ফ্লোর প্রাইসের বিধিনিষেধ, মুদ্রাবাজার ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বাজারের জন্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বলেছে, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী ধারা ও ফ্লোর প্রাইস বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে জিডিপি ও শেয়ারবাজারের মূলধনের অনুপাত এখন ১৯ শতাংশ। অথচ ২০১০ সালেও তা ছিল ৪১ শতাংশ। তাই জিডিপি ও বাজার মূলধন অনুপাত বাড়ানোয় মনোযোগী হওয়া দরকার।
বহুজাতিক ব্যাংকটি বলছে, বাংলাদেশের বাজার ছোট এবং তারল্যও অপর্যাপ্ত, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তাবাজার জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকেও ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে ভোক্তাবাজারে বাংলাদেশ ছিল ১৬তম অবস্থানে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ নবম স্থানে উঠে আসবে।
Posted ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Chy