কক্সবাংলা ডটকম(১৭ জুলাই) :: গত কয়েক মাসে একাধিক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পৃথিবী। সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণের পর সম্প্রতি এক উজ্জ্বল ধুমকেতু দেখা যাচ্ছে রাতের আকাশে। তবে এবার পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এক বিশাল গ্রহাণু।
ইতিমধ্যএই এই বিষয়ে সতর্ক করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন চেহারায় ‘লন্ডন আই’-এর থেকে দেড় গুণ বড় এই গ্রহাণু।
আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, ইউকে-র এই বিখ্যাত লন্ডন আই-এর উচ্চতা ৪৪৩ ফুট। আর তার থেকেও ৫০ শতাংশ বড় এই গ্রহাণু।
গবেষকরা এই গ্রহাণুর নাম দিয়েছেন Asteroid 2020ND. আগামী ২৪ জুলাই এটি পৃথবীর সবথেকে কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর ০.০৩৪ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে এই গ্রহাণু। এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট হল ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার বা মোটামুটিভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রহ তৈরি হওয়ার সময় এরকমই অনেক গ্রহাণু দিয়ে তৈরি হয়েছিল। আর যেগুলি বাদ গিয়েছিল, সেগুলিই এভাবে আকাশে ঘোরাফেরা করে। কোনোটা ধুমকেতু আবার কোনোটা গ্রহাণু। ঠিক যেমন এই গ্রহাণি সৌরজগতের কোনও গ্রহ তৈরি হওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গল, পৃথিবী, বুধ কিংবা বৃহস্পতি তৈরি হওয়ার সময়ই সম্ভবত বেরিয়ে আসে এই গ্রহাণু।
গত মাসেই পরপর গ্রহাণু এগিয়ে এসেছিল পৃথিবীর দিকে।
৫ জুন ঠিক ভোর ৪.৪৪ মিনিটে এক্সটেরয়েড ২০২০ কেএন ৫ পৃথিবীর কান ঘেঁষে চলে যায়। এর গতিবেগ ১২.৬৬ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড ছিল। তবে বিশাল আকারের এই গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করেনি। পৃথিবী থেকে ৬১ লক্ষ কিমি দূর থেকে সেটি কার্যত ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে যায়।
পাঁচ জুন সন্ধ্যাতেও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল আরও একটি গ্রহাণু। সন্ধ্যা ৫ টা ৪১ মিনিটে আরও একটি বিশাল আয়তনের গ্রহাণু ২০২০ কেএ৬ পৃথিবীর থেকে ৪৪.১৩ লক্ষ কিমি দূর থেকে বেরিয়ে যায়৷ যার গতিবেগ ছিল ৪১,৬৫২ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
৬ জুন সকালে আরও একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসে। ওই দিন সকাল ৮.৫০ মিনিটে অ্যাস্টারয়েড ২০০২ এনএন ৪ পৃথিবীর একেবারে কানের পাশ দিয়েই বেরিয়ে যায়।
এস্টারেয়ড ২০০২ এনএন ৪ এর গতিবেগ ছিল ৪০,১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। নাসা জানিয়েছিল, অ্যাস্টারয়েড ২০০২ এনএন ৪-এর ব্যাস ৫৭০ মিটার হবে ৷ যা কিনা প্রায় ৫টি ফুটবল ময়দানের সমান।
Posted ১০:৫৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy