নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৭ জানুয়ারি) :: পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে এক খামারীর পোল্ট্রি খামারের আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে। গভীর রাতে বেড়িবাঁধের জায়গার উপর নির্মিত পোল্ট্রি খামারে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত নিয়ে দু’পক্ষই পরষ্পরকে দায়ী করছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা দ্রুত ওই স্থানে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
২৬ জানুয়ারী (রবিবার) দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারঘোনা গ্রামে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন রাত ১ টার দিকে মৃত আহমদ কবিরের পুত্র তাজুল ইসলামের মালিকানাধীন পোল্ট্রি ফার্মে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়েছে। এ সময় খামারের আংশিক পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।
তাজুল ইসলামের মা আয়াতুন্নাহার জানান, আমাদের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে এ আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এসে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এস,এস,সি পরীক্ষার্থী জন্নাতুল বকেয়া ও ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আসমাউল হুসনা জানান, আমরা আগুন দেখে দ্রুত গিয়ে নারী-পুরুষ মিলে পানি দিয়েছি।
মুঠোফোন কোম্পানীর এক কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, আমরা ২০/৩০ জন জড়ো হয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন এনেছি। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
খামারের মালিক তাজুল ইসলাম জানায়, খামার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে হামলা ও মারধর করেছে। আমি ও আমার বোনকে জখম করা হয়েছে। ওই দিন রাতে খামারে আগুন দিয়েছে।
তবে প্রতিবেশী গোলাম কবিরের ছেলে নজরুল ইসলাম, তার ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, ফার্মটি মানবিক কারনে আমরা আমাদের জায়গায় তাজুলকে করতে দিয়েছি। জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। এরপর তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের জন্য হয়রানি করার কৌশল করছে। একই দিন রহস্যজনক কারনে তারা নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা কিছুই জানিনা। কোন বিবেকবান মানুষ অন্য জনের সম্পদ পুঁড়ে দিতে পারে না।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, আমি সেখানে সকালে পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত চলছে।
Posted ১০:০১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy