বিশেষ প্রতিবেদক,পেকুয়া(৩১ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় আ’লীগ ও বিএনপির মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় ১ জন ছুরিকাঘাতসহ ক্ষমতাসীন দলের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা তৈরীকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে ও ৩০ ডিেেসম্বর নির্বাচনের দিন বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নে বনকানন ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-আক্তার হোসেন(৪৫), শাহনেওয়াজ (৪৩), মহিউদ্দিন (২৭), আকবর(৪০) ও আমির হোসেন (৩০)। এদের মধ্যে শাহনেওয়াজকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
তারা সবাই আ’লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন ৪ নং ওয়ার্ড আ’লীেেগর সভাপতি কবির আহমদ ও সাধারন সম্পাদক এলাহাদাদ। আহতরা টইটং ইউনিয়নের বনকানন এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সুত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টইটংয়ের বনকানন মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গ্রহন চলছিল। মধুখালী ছনখোলারজুমসহ পূর্ব টইটংয়ের বিপুল ভোটার ওই কেন্দ্রে ভোট করতে উপস্থিত হচ্ছিল।
এ সময় দরগামোড়া ক্বারী কামালের ছেলে ছাত্রদলের উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ইমরান কামাল, চৌকিদারপাড়ার শাহজাহান, শফিক, ফারুক মিয়া, আক্তার, সোনামিয়া, আবদু রহিম, কামাল হোসেনসহ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিেেরর কর্মীরা সড়কে ভোটারদের বাধা দেয়। বনকানন মধুখালী সড়কের ছনখোলারজুম পয়েন্টে তারা ক্ষমতাসীন দলের কর্মী সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে না আসতে বাধা দেয়।
এ সময় প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে ক্ষমতাসীনদল কর্র্মী এর প্রতিবাদসহ বাধা ছুড়াতে ওই স্থানে পৌছে। এর সুত্র ধরে দু’প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে মারপিট হয়। এতে তারা আহত হয়েছে। ঘটনার জের ধরে ভোট গ্রহনের পরদিন সোমবার সকালে বনকাননে বিএনপি ও আ’লীগের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
আহত আক্তার হোসাইন জানায়, ইমরান কামালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র স্বন্ত্র নিয়ে ভোটে ভীতি ছড়ায়। আ’লীগ সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়। এ সময় আমরা ছুটে গিয়ে বাধা ছুড়ায়। এতে অস্ত্রসহ তারা হামলা চালায়। শাহনেওয়াজকে ছুরিকাঘাত করে।
Posted ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy