নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৯ জানুয়ারী) :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় গভীর রাতে বসতবাড়ি ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এ সময় হামলায় আট মাসের অন্ত:সত্তা মহিলা ও তৃতীয় শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীসহ ৪জন আহত হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারী) ভোর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত.বদিউল আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫২), স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৭), পুত্রবধু আরফানের স্ত্রী আট মাসের অন্ত:সত্তা নুরুন্নাহার (২০) ও মেয়ে পেকুয়া আয়েশা ছিদ্দিকা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী রেশমি আক্তার (৯)।
স্থানীয় সুত্র জানায়,প্রায় ৭৮ শতক পৈত্রিক অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম গং ও ভগ্নিপতি ভোলাইয়াঘোনা এলাকার রফিক আহমদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্পত্তির মুল মালিক বদিউল আলম। তিনি তিন স্ত্রীর স্বামী ছিলেন। তিন স্ত্রীর ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ে রয়েছে। ৭৮ শতক জমি ১৯ সন্তানের প্রাপ্ত অংশ।
এদিকে বদিউল আলমের মেয়ে খুকি একাই পৈত্রিক অংশের প্রায় ৩৮শতক জমি কুক্ষিগত করে রাখে। তবে হারাহারি মতে মেয়ের প্রাপ্ত অংশ প্রায় ৫শতক। কিন্তু রফিক আহমদের স্ত্রী খুকি দখলে রেখেছে ৩৮শতক। এছাড়াও আরো কিছু জায়গা পৈত্রিক অংশ থেকে জবর দখল করার পায়তারা করছিল। পৈত্রিক অংশে খুকির ভাই জাহাঙ্গীর আলমও বসতবাড়ি নির্মান করে।
ঘটনার দিন রাতে রফিক আহমদ ও ছেলে সোহেলের নেতৃত্বে ১০-১২জনের ভাড়াটে লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বাড়ি ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়। হামলা চালিয়ে এ ৪জনকে আহত করে।
বদিউল আলমের অপর সন্তান নাছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন,শামসুল আলম, গিয়াস উদ্দিন,এনতাহারা, ঝর্না, পাখি জানান, আমরা ১০ ভাই ও ৯ জন বোনসহ ওয়ারিশ ১৯জন। ১৮জনের জায়গা খুকি স্বামীকে নিয়ে একাই ভোগ করছে। গায়ের জোরে সম্পত্তি কুক্ষিগত করেছে। অবশিষ্ট সম্পত্তিও একা জবর দখল করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর জের ধরে রাতে আমাদের ভাই জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হানা দিয়েছে। তাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে এ হামলা। অথচ জাহাঙ্গীর আমার পিতার জায়গায় বসবাস করছে। ভগ্নিপতি রফিক ও বোন খুকির লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে আমাদের জায়গার উপর।
জাহাঙ্গীর আলম জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর করে বসবাস করছি। গভীর রাতে রফিকের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন বাড়িতে হানা দেয়। ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। ৪জনকে পিটিয়ে আহত করে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল আজম জানান, পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
Posted ২:০২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy