নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১ অক্টোবর) :: পেকুয়ায় গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে পেটালেন দুবৃর্ত্তরা। এ সময় তারা ওই নারীকে মারধরসহ গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। এর জের ধরে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের শংকা দেখা দেয়।
১ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নে বুধামাঝিরঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটের শিকার নারীর নাম ইয়াসিনা বেগম(২৭) তিনি বারবাকিয়া ইউপির গ্রাম পুলিশ ইউসুফ আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন সকাল ১১ টার দিকে ইয়াসিনা বেগম পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ আহরন করছিলেন।
এ সময় বুধামাঝিরঘোনা এলাকার সাজ্জাদ একই এলাকার দিদারুল, মোসাদ্দেক, নাজিম উদ্দিন, এনামুল হক, সাদ্দাম হোসেন, ্ইকবাল, মোহাম্মদ শরীফসহ দুবৃর্ত্তরা তাকে মারধরসহ হামলা চালায়।
এ সময় তারা ওই নারীকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে মাছ ধরার জালটি তারা ছিনিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই নারীকে হামলার কবল থেকে বাঁচাতে দ্রুত ওই স্থানে ছুটে আসে। এ সময় হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় সুত্র জানায়, ৮০ শতক জমি নিয়ে ইউসুফ আলী ও মোসাদ্দেক গংদের বিরোধ চলছিল।
সরকারের ১ নং খাস শ্রেনী ও পাউবোর মালিকানাধীন জমি ছাড়াও ওই জমি ব্যক্তি মালিকানাধীনও আছে। শত বছর ধরে এ জমি ইউসুফ আলী গং রক্ষনাবেক্ষন ভোগ দখল করছেন। তারা বন্দোবস্তী ও লিজ গ্রহীতা মুলে এ জমি ভোগ করছেন।
অপরদিকে এর কিছু অংশ বিএস মুলে সিরাজুল হক গং মালিক হন। এ অংশ সাবেক ইউপি সদস্য ছরওয়ার আলম গং সিরাজুল হক গংদের নিকট থেকে ক্রয় করে। এ জমি ছরওয়ার আলম গং গ্রাম পুলিশ ইউসুফ আলী গংদের নিকট কবলা সম্পাদন করে। ওই দিন সকালে গ্রাম পুলিশের স্ত্রী নিজ জায়গায় মাছ ধরছিলেন।
এ সময় তারা তাকে পিটিয়ে ও গলা ধাক্কা দিয়ে আহত করে। গ্রাম পুলিশ ইউসুফ আলী জানায়, ওই দিন আমি পরিষদে ছিলাম। গ্রাম আদালত চলছিল। সাজ্জাদসহ তারা গিয়ে আমার স্ত্রীকে মারধরসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। তারা ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছিল। আমি টাকা দিই নাই বলে আমার স্ত্রীর উপর এ হামলা হয়েছে।
প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুল করিম জানায়, গরীবের উপর অত্যাচার। কাগজপত্র সবকিছু ইউসুফ আলীর অনুকুলে।
Posted ১:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy