নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনীতে একটি দোকান ঘরের আধিপত্য নিতে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। বানৌজা শেখ হাসিনা সাব মেরিন নৌঘাটির সংযোগ সড়কের সম্প্রসারণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এতে করে চকরিয়ার বরইতলী একতাবাজার থেকে মগনামা জেটিঘাট পর্যন্ত সড়কটির সম্প্রসারণকাজ বাস্তবায়ন করতে ভূমিঅধিগ্রহণ ও উচ্ছেদ অভিযানও চলমান রয়েছে। এ দিকে সড়ক সম্প্রসারণ কাজের জন্য পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনীতেও দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান করা হচ্ছে।
সুত্র জানায়, কলেজ গেইট চৌমুহনীতে একটি দোকান নিয়ে ব্যবসায়ী হাজী মহিউদ্দিন ও মোজাম্মেল হক নামক ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। মহিউদ্দিনের মালিকানাধীন একটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানটির কিছু অংশেও উচ্ছেদের মধ্যে পড়েছে।
সুত্র জানায়, সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র হাজী মহিউদ্দিন ০.৫০ শতক জায়গার ক্রয়সুত্রে মালিক হন। ২০০৩ সালে ১৩ অক্টোবর ৪৪০৬ কবলামুলে ০.৫০ শতক জমি খরিদ করেন। ওই জমিতে দোকান তৈরী করে তিনি কুলিং কর্ণারের ব্যবসা করেন। পেকুয়ার জমিদারবাড়ির নজমুল হক চৌধুরী পুতু মিয়াসহ অন্যান্য ওয়ারিশগন পৈত্রিক ও মিরাজসুত্র প্রাপ্ত অংশ হাজী মহিউদ্দিনকে কবলা দেন। এ দিকে সম্প্রতি ওই দোকানটি জবর দখলে নিতে সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার বজল আহমদের পুত্র মোজাম্মেল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর আগেও দোকানটি দখলে নিতে চেষ্টা চালায়।
সুত্র জানায়, মোজাম্মেলসহ তার অনুগত কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে সম্প্রতি দোকানে মহিলা নিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। জবর দখল ঠেকাতে দোকানের মালিক মহিউদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে একটি এমআর মামলা রুজু করে। যার নং ২১৩/২১। স্থিতিবস্থা বিদ্যমান ও শান্তিশৃংখলা রক্ষার জন্য ওসি পেকুয়াকে আদেশ দেয়া হয়।
সুত্র জানায়, আদালতে ১৪৪ ধারার জন্য মামলা রুজু করার এ খবর জানার পর জবর দখল প্রক্রিয়া আরো অধিক চলমান রয়েছে। মোজাম্মেল হক মহিলা ডুকিয়ে দিয়ে দোকানটি জবর দখলের পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে হাজী মহিউদ্দিন জানান, আমি পুলিশের সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু জবর দখলকারীরা এখনো দোকানটি দখল চেষ্টা করছে। আমি পুলিশসহ রাস্ট্রপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Posted ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy