নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২ আগস্ট) :: পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)নিয়ন্ত্রিত স্লুইচ গেইটের বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীরা জানায়, আধিপত্য নিতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ স্লুইচ গেইট এলাকায় দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দেয়। এতে করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিতে ধেয়ে আসছিল কয়েকজন যুবক।
এ দৃশ্য প্রতীয়মান হলে এলাকায় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৫ ঘন্টা ভাড়াটে ওই লোকজন স্লুইচ গেইটে অবস্থান নিলে উত্তেজনা আরো প্রকট আকার ধারন করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘটিত হয়েছে। গত ১ আগস্ট গভীর রাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চেপ্টাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, কক্সবাজারের পাউবোর ৬৫/২বি পোল্ডারের মগনামা চেপ্টাখালী এলাকার স্লুইচ গেইট নিয়ে বোর্ডিং পাড়া এলাকার মনজুর আলমের ছেলে কাইছার ও মৃত আবদুল মালেকের ছেলে জিয়াউর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স্লুইচ গেইট রক্ষনাবেক্ষন এর জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাইছারকে তদারকির দায়িত্বভার দেন। বর্তমানে ওই স্লুইচ গেইটে মোকামে মৎস্য শিকারের জন্য জাল পাতান কায়ছার। ওই দিন রাতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের লোকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে হানা দেয়। এ সময় বাসা ভাংচুর ও জাল ছিনিয়ে নেয় তারা।
এ ব্যাপারে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নুরুল মোস্তফা কালু জানায়, তারা ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে নাশির দিকে যাচ্ছিল। বিষয়টি আমি মুঠোফোনে কাইছারকে সতর্ক করে দিই। তিনি টের পেয়ে পালিয়ে যান। না হয় তাকে মেরে ফেলা হত। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আমি একটি নারী নির্যাতন মামলার স্বাক্ষী। সে এরপর থেকে আরো হিং¯্র হয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় জিডি হচ্ছে বলে ওই গ্রাম পুলিশ জানায়। তবে অপরপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। বক্তব্য দেওয়া যায় নি।
Posted ৭:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy