নিজাম উদ্দিন,পেকুয়া(৩০ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় ফের হামলায় ৮ মাসের অন্ত:স্বত্তাসহ ২ জন মহিলা আহত হয়েছে। একই স্থানে ১ দিনের ব্যবধানে দু’দফা ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় আবারো বাড়ি ভাংচুর ও তান্ডব চালানো হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
৩০ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানার এস,আই শিমুল নাথসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই স্থানে পৌছে।
এ সময় পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন ভোলাইয়া গ্রামের মো: আরফানের স্ত্রী ৮ মাসের অন্ত:স্বত্তা নুরুন্নাহার বেগম (২৫) ও মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভোলাইয়াঘোনা গ্রামে মৃত বদিউল আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম গং ও একই এলাকার পুতুন আলীর ছেলে আবুল কালাম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে আবুল কালাম, ফারুকসহ ১৫/২০ জনের ভাড়াটে লোকজন জাহাঙ্গীর আলম গংদের বসত বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় বল প্রয়োগপূর্বক উত্তেজিত লোকজন জাহাঙ্গীর আলম গংদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ব্যাপক তান্ডব ও বাড়ি ভাংচুর চালায়। এ সময় আরফানের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম ও মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার ভাংচুর না করতে নিষেধ করছিলেন।
এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন লাথি মেরে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এ ২ জন নারীকে আহত করেছে। এ দিকে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এর ১ দিন আগেও মারপিট ও ভাংচুর হয়েছে।
বুধবার ভোর রাতে একই স্থানে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটসহ হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ওই দিনের ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম গংদের ৩য় শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীসহ ৪ জন আহত হয়েছিল।
ওই দিনও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই ঘটনা সংঘটিত করেছিল জাহাঙ্গীর আলমের ভগ্নিপতি রফিকসহ ভাড়াটে লোকজন। তবে দ্বিতীয় দফা ঘটনা সংঘটিত করেছে জাহাঙ্গীর আলম গংদের অপর প্রতিপক্ষ আবুল কালাম গং।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা ১৯ জন ভাই বোন ৭৮ শতক জমির মালিক। কিন্তু তারা ১ জনে প্রায় ৩৮ শতক জায়গা দখলে রেখেছে। হারাহারি মতে পাবে ৫ শতকেরও কম। আমাদের অংশ জবর দখল কুমানসে তারা ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে বসতভিটা জবর দখলের পায়তারা করছে। মূলত আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে দফায় দফায় হামলা করছে। ১ম দিন করেছে রফিক গং। ২য় দফায় করছে তার অনুগত আবুল কালাম গং।
নুরুন্নাহার বেগম জানায়, আমি ৮ মাসের অন্ত:স্বত্তা। পর পর ২ বার মারধর করা হয়েছে আমাকে। ২য় দফায় লাথি মেরে আমাকে আঘাত করা হয়েছে।
জিয়াসমিন আক্তার জানায়, আমি বিধবা। শাশুড়ের জায়গায় বসবাস করছি। তারা বার বার আক্রমন করছে।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে রাতে কিংবা দিনে গিয়ে কোন রকম আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানো যাবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy