নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৪ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করল দুবৃর্ত্তরা। নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে বিএনপির দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা যুবলীগ ওয়ার্ড কমিটির প্রচার সম্পাদককে এলোপাতাড়ি ধারালো দেশীয় তৈরী অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় তাকে মারাত্মক জখমী অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ওই দিন তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে।
পারিবারিক সুত্র জানায়, যুবলীগের ওই কর্মীর অবস্থা বর্তমানে অবনতির দিকে। তাকে নীবিড় পর্যবেক্ষন (আইসিওতে) স্থানান্তর করা হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমী ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম(৩৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত গোলাম কবিরের ছেলে।
শিলখালী ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নং ওয়ার্ড কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন বিকেলে কাচারী মোড়ায় জামাল উদ্দিন প্রকাশ জানু মেম্বারের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের বৈঠক হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নীতি নির্ধারনী বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সাইফুল সহ বিপুল লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে সাইফুল নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পায়ে হেটে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে সিকদারপাড়া জকরিয়ার পোল্ট্রি ফার্মের সামনে রাস্তায় পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা জানায়, সাইফুল ও তার তালত ভাই আলমগীর এক সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় সাইফুলকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় চারটি কুপ, হাতেও পিঠে দুটি কুপের জখম রয়েছে। তার ভাই নজরুল ইসলাম জানায়, তাকে টানা হেচঁড়া করে পার্শ্ববর্তী নদীর চরের ঝুপে নিয়ে যায়।
এ সময় তাকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা চালায়। আত্মচিৎকারে আমি ও আমার ছোট ভাই আতিকুল ইসলাম এসে সাইফুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
নজরুল ইসলাম আরও জানায়, ভাইকে যারা খুন করতে চেয়েছে এরা বীরদর্পে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছে। ভাইকে বাঁচাতে মেডিকেলে চিকিৎসায় ব্যস্ত ছিলাম। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। থানায় এসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এজাহার প্রেরন করি।
তবে পুলিশ এতবড় জঘন্য ঘটনার পরেও ওই এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে গড়িমসি করছে। একজন মানুষের উপর এ নিষ্টুর হামলা হয়েছে। অথচ আইনের সহায়তা না পাওয়া মানবাধিকারের বিপরীত আইনের বরখেলাপ। আমি প্রত্যাশা করছি দ্রুত সময়ে আইনী সহায়তা পাব।
শিলখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী জানায়, কারা ঘটনার সাথে জড়িত আমার সঠিকভাবে জানা নেই। পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানান, এজাহার পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৭:৪৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy