নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: কক্সবাজারে পেকুয়ায় বারবাকিয়া হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নির্মাণ সামগ্রী লুট করা হয়েছে। এ সময় স্কুলের টাঙ্গানো সাইনবোর্ড ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় নিয়ে স্কুলে দ্রুত বৈঠক আহবান করা হয়। প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের হোছনে আরা বালিকা বিদ্যালয়ের মার্কেট নির্মাণ কাজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ১৩ শতক জমিতে হোছনে আরা বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবকাঠামো নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। বিগত কয়েক বছর আগে ওই ১৩ শতক জমি হোছনে আরা বালিকা বিদ্যালয়ের নামে দলিল সম্পাদন হয়। ৯৫৯৫ নম্বর সৃজিত খতিয়ানও স্কুলের নামে প্রচার আছে।
গেল ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকার স্কুলের ওই জায়গায় মাটি ভরাটসহ এর সম্প্রসারণকাজ বাস্তবায়নের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত ওই বরাদ্ধের অর্থ দিয়ে জায়গাটি মাটি ভরাটকাজ সমাপ্তি করে। সম্প্রতি ১৩ শতক জমিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ মার্কেট নির্মাণ কাজ আরম্ভ করে।
ঘটনার দিন দুপুরে পশ্চিম পাহাড়িয়াখালীর ইব্রাহীম খলিলসহ ১০/১২ জনের একদল দুবৃর্ত্ত স্কুলের জায়গায় হানা দেয়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন মার্কেট নির্মাণকাজে বাধা দেন।
এমনকি ওই স্থান থেকে নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। জায়গায় স্কুলের নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো ছিল। তারা ওই সাইনর্বোর্ডটিও ভাংচুর করে।
এ দিকে ভাংচুর ও নির্মাণসামগ্রী লুটের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় ৫ জানুয়ারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পেকুয়া থানার এএসআই জয়নাল আবেদীন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
বারবাকিয়া হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী জানান, আমরা পেশী শক্তির এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়েছি। জায়গাটি স্কুলের নামে কেনা। খতিয়ানও হয়েছে। মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে গত ছয় মাস আগে। তারা হঠাৎ এসে এভাবে তান্ডব চালাবে এটি জঘন্যতম। সরকারী সম্পত্তি ও স্কুলের স্বার্থের পক্ষে আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা লড়ব।
এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। স্কুলের জায়গা নিয়ে এমন অন্যায় চরম জঘন্য অপরাধ। সরকার মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্ধ দিয়েছেন। আমরা জায়গার উন্নয়ন ও সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন করেছি। স্কুল তহবিলকে শক্তিশালী করতে মূলত মার্কেটটি নির্মিত হচ্ছে। এটি ব্যক্তিগত বিষয় নয়।
হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী জানায়,জায়গাটি স্কুলের নামে। ওই জায়গা স্কুল কর্তৃপক্ষ দোকান নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছিল। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত এসে কাজে বাধা দিয়ে নির্মান সামগ্রী নিয়ে যায়।
Posted ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy