নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৩ আগস্ট) :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৫ জনকে আটক করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র্যাব)। এ সময় দুটি এলাজি, একটি দেশীয় তৈরী লম্বাবন্দুকসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় দশ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও নগদ সতের লাখ টাকা জব্দ করে।
রবিরার ১৩ আগষ্ট ভোর ৫ টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি টীম ওই দিন ভোর ৫ টার দিকে কলেজ গেইট চৌমহনীস্থ মাতবরপাড়া এলাকায় জেলা পরিষদ সদস্যের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও নগদ টাকাসহ ৫ জনকে আটক করে র্যাব।
আটকৃতদের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত একজন সাধারন ওয়ার্ডের সদস্যও রয়েছেন। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া এলাকার রমিজ আহমদের ছেলে।
অপর আটকৃতরাও তার আপন সহোদর। তারা হলেন-মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ কাইয়ুম,মোহাম্মদ আলমগীর ও ওসমান ছরওয়ার বাপ্পী। এদের মধ্যে আজম যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, ওসমান ছরওয়ার বাপ্পী ছাত্রলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।
র্যাব কক্সবাজারের কোম্পানী কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানায়, অস্ত্র মওজুদের গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ সময় তার বাড়ি থেকে এ সব অস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও নগদ টাকা উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। যার নং-০৪/১৭।
এ দিকে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার ৪ সহোদর আটকের খবর ওই দিন সকালে পেকুয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তার সমর্থকরা ওই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হন। তারা তাকে আটকের এ ঘটনায় ফেটে পড়েন। উত্তেজিত লোকজন সকালে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
এ সময় তার মুক্তির দাবীতে সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় কলেজ গেইট চৌমুহনী ও পেকুয়া বাজারে সব দোকান পাট বন্ধ করা হয়।
সকাল থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত চকরিয়া-মগনামা সড়কের ও আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী সহ আশপাশে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হয়।
পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ব্যবসা প্রতিষ্টান সমুহ ফের সচল হয়। তবে কলেজ গেইট চৌমুহনীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
আটকের এ বিষয়টি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার দাবী করেছেন এটি চক্রান্ত। টাকাগুলি ব্যবসায়ীক। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন। তবে ক্ষমতসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, এ বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা পিএডি মিজান বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিস্তারিত অঅসছে……….
Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy