কক্সবাংলা রিপোর্ট :: প্রায় দুদশক ধরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। ‘বাবা’ নামে এটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ করে তরুণদের মাঝে।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে সারা দেশে ইয়াবার মূল জোগানের রুট ছিল টেকনাফ-উখিয়া।
দেশের সবচেয়ে দক্ষিণের এলাকা টেকনাফ হয়ে ইয়াবার কারবারে শীর্ষে যার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হতো তিনি ছিলেন আবদুর রহমান বদি।
২০০৮ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার-৪(টেকনাফ-উখিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্যও ছিলেন। এরপর ওই আসন থেকে তাঁর স্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক সংস্থার করা মাদক কারবারির তালিকায় শীর্ষে নাম এসেছিল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বদির।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যায়নি বলে দায় স্বীকার করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকারোক্তি দেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ। সঙ্গে অধিদপ্তরের আরও কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,’আপনারা মাদক সম্রাট বদির নাম শুনেছেন। আমরা আওয়ামী লীগের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নিতে পারিনি। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করছি।
এখন আমাদের হাত-পা বাঁধা নেই। আমরা তাঁর (বদির) সব কার্যক্রমের তদন্ত করছি। আমাদের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করেছে।
তাঁরা তদন্ত করে বদি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।’
Posted ২:২৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta