কক্সবাংলা ডটকম(৯ জানুয়ারি) :: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার এক যুগ পূর্তি করেছে। ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের এক যুগে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আমলাতন্ত্রের উত্থান। এই সময়ে ক্রমে আমলারা ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন। এখন অনেক আমলা মন্ত্রীদের চেয়েও ক্ষমতাবান। এক যুগে বিভিন্ন সময়ে যে সব আমলারা ক্ষমতাবান হয়েছিলেন, তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন-
১. আবুল কালাম আজাদ: আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগে ক্ষমতাবান আমলাদের সবার শীর্ষে নি:সন্দেহে থাকবে আবুল কালাম আজাদের নাম। তিনি বিদ্যুৎ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এবং এস.ডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এক সময়ে তাকে সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি মনে করা হতো। সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু গত জানুয়ারিতে অবসরে যাবার পর তিনি ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে ছিটকে পরেন। রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদ কেলেংকারীতে নাম আসায় এখন তিনি কোনঠাসা।
২. ড: আহমেদ কায়কাউস: প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান মূখ্য সচিব। সম্প্রতি তাকে দুবছরের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করোনা সংকটের শুরু থেকেই তিনি পাদপ্রদীপে আসেন। দক্ষতা এবং যোগ্যতা দিয়েই তিনি আলোচনার কেন্দ্রে আসেন। করোনা সংকটে তার ভূমিকা ও দায়িত্বশীলতা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
৩. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম: দ্বিতীয় বারের মতো মন্ত্রীপরিষদ সচিব হিসেবে দুবছরের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। সেতু সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আলোচনায় আসেন। সততার জন্য সব মহলে তিনি প্রশংসিত। সরকারের অন্যতম নীতি নির্ধারক মনে করা হয় তাকে।
৪. ফজলে কবির : অর্থ সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণের পর তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর করা হয়। গভর্ণর পদে তাকে রাখতে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
৫. ড: কামাল চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে অবসর নেন। মুজিব বর্ষ উদ্্যাপন কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে আবার ক্ষমতা কেন্দ্রে ফিরে আসেন। লেখা লেখি এবং সৃজনশীতার জন্য তিনি আলোচিত।
৬. সাজ্জাদ হোসেন: প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে অবসরে যান। এখন বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সরকারী চাকরীতে থাকার সময় দুর্দান্ত প্রভাবশালী ছিলেন। এখন প্রভাব কমলেও প্রভাব বলয়েই আছেন এই সাবেক আমলা।
৭. ফয়েজ আহমেদ: বাংলাদেশে প্রশাসন ক্যাডারে কৃষিবীদদের উত্থান তার হাত দিয়েই হয়েছিল। ঝাঁকে ঝাঁকে কৃষিবীদরা পদোন্নতি পেয়েছিল, তিনি যখন জনপ্রশাসন সচিব ছিলেন। এখন সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য থাকলেও ক্ষমতা কেন্দ্রে তার প্রভাব কম।
৮. ড: ইকবাল মাহমুদ: বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। সচিব থেকে অবসর গ্রহণের পরও এখনও প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাবান।
৯. মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামন : প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। একবারে তিন বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগও পেয়েছিলেন। তবে এখন ক্ষমতা কেন্দ্রে তিনি প্রভাবশালী নন।
১০. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া: প্রধানমন্ত্রীর সচিব। বিনয়ী, মার্জিত হিসেবে পরিচিত। প্রচন্ড ক্ষমতাবান হলেও ক্ষমতার দাপর্ট দেখান না একেবারেই।
১১. নজিবুর রহমান: প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মূখ্য পদে যাওয়াটাই ছিলো বিস্ময়। তবে ঐ সময়ে ক্ষমতাবান থাকলেও এখন কোথাও নেই।
১২. ড: মোজাম্মেল হক খান: এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য। জনপ্রশাসন সচিবের পদ থেকে চাকরি শেষ হবার আগেই অবসরে যান। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী।
Posted ১:০৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta