আবদুল হামিদ,বাইশারী :: নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে রাতের আধারে এক অসহায় ব্যক্তির বসত বাড়ীতে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সহ মারধর করে পরিবারের ৪ সদস্যকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এতে একজনের অবস্থা আশংকা জনক বলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পুর্নবাসন পাড়া গ্রামে ৫মে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হাদি বারেকের বসত বাড়ীতে।
আহতরা হলেন হাদী বারেক (৬০) স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫৫ ) মেয়ে ফিরুজা আক্তার (২২) ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৮)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে হাদি বারেকের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত হাদী বারেকের ছোট ছেলে জাহিদুল ইসলাম জানান বৃহস্পতিবার ৫মে রাত ২ টার দিকে তারা সবাই বাড়ীতে সুমন্ত অবস্থায় ছিল।
হঠাৎ একদল লোক তাদের বাড়ী ভাংচুর শুরু করলে বিকট শব্দে ঘুম ভেংগে যায়।
ঐসময় বাড়ী থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে একই ওয়ার্ডের করিমার ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা কবির আহমেদ ও নুরুল হাকিম বাবুল সহ আনুমানিক ২০ জনের মত মুখোশ পরিহিত অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র, দা লাঠি নিয়ে ঘর ভাংচুর করে।
এতে বাধা দিতে গেলে পরিবারের ৪ সদস্যকে দা, লাঠি দিয়ে মারধর , ঘর ভাংচুর ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। ঐ সময় বাড়ির লোকজনের বাঁচাও বাঁচাও শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্বার পুর্বক স্থানীয় পুলিশ তদন্তকন্দ্রে খবড দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় । পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে পুলিশ ও জনতা এগিয়ে আসার আগেই ভাংচুর করে ঘর নিচিন্হ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইছহাক জমাদার, শহিদ ও মুসলিম সহ অনেকেই দেখতে পান কবির আহমদ ও তার ছেলে সহ মুখোশ পরিহিত ২০/২৫ জনের মত লোকজন ঘর বাড়ী ভাংচুর করতে এবং পরিবারের ৪ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে।
ঘটনা স্থলে যাওয়া পুলিশের এ এস আই ইয়ামিন বলেন এটা অমানবিক নির্যাতনের একটা অংশ। তারা না আসলে হয়ত বাড়ির লোকজন ঘটনা স্থলেই মারা যেত।
ওয়ার্ড ইউ সদস্য বেলাল উদ্দিন জানান তিনি ও ঘটনা স্থলে যান এবং এই অমানবিক দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এছাড়াও দুপুর ১ টায় বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ হাসেম সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভাংচুর এর আলামত জব্দ করা হয়।
নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি টান্টু সাহা বলেন এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি । তারপর ও পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত কবির আহমেদের নিকট মুঠোফোন এ যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে করে বলেন তাদের খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় জোর করে বসতঘর নির্মাণ করায় ভেংগে ফেলার জন্য গেলে তাকে মারতে আসায় এ ঘটনা ঘটেছে। আমার আর করার কিছুই নাই।
Posted ৮:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ মে ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Chy