কক্সবাংলা ডটকম(১৬ অক্টোবর) :: লন্ডনে চিকিৎসা শেষে আগামী বুধবার দেশে আসছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। হঠাৎ করেই এসব পরোয়ানা জারির পর রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে, দেশে ফিরেই কি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হচ্ছেন?
তবে বিএনপির নীতি-নির্ধারক এবং খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীদের ধারণা, খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হবেন কিনা তার সবটাই নির্ভর করবে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর।
তারা জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেহেতু আছে, খালেদা জিয়া ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো বাধা নেই।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘পরোয়ানার ভিত্তিতে পুলিশ ইচ্ছে করলে বিমানবন্দর থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে তিনি যদি বিমানবন্দর পার হয়ে গুলশানে চলে আসেন, তাহলে ভিন্ন কথা।’
সবকিছু আইনি প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে নয় বরং সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে বলেও মানেন তিনি।
জমিরউদ্দিন সরকারের অভিযোগ, ‘স্বাধীন সত্তা থেকে আদালত এসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেননি। সরকারের চাপে পড়ে তারা এটি করেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা না করা সবটাই সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এখানে আইনি প্রক্রিয়া গৌণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তেমন কিছু না। আগে জারি করা এমন পরোয়ানা তার বিরুদ্ধে আরও আছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতার নামেও পরোয়ানা রয়েছে।’
দেশে ফিরে পরের দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন বলেও জানান মওদুদ আহমদ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদালত জারি করেছেন। সরকার সেখানে কেন হস্তক্ষেপ করতে যাবে?’
তিনি বলেন, ‘যা হবার তা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হবে। এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কিছু নেই। অন্যকে দোষারোপ করাও ঠিক হবে না।’
Posted ৭:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy