এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৬ ডিসেম্বর) :: এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৬ ডিসেম্বর) :: মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাণে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মোহনা মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউএনও শিবলী নোমান সভাপতির বক্তব্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে চকরিয়া উপজেলার ছয়জন বীর সেনানী দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার এতটি বছর অতিবাহিত হলেও আমরা তাদের সম্মাণে দৃশ্যমান তেমন কিছু করতে পারেনি। এটি আমাদের জন্য বড়ই পীড়াদায়ক।
তিনি বলেন, বিজয় দিবসের এই আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সিদ্বান্ত নিয়েছেন, উপজেলার যেসব মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জমি আছে বাড়ি নেই, আমরা প্রশাসনের পক্ষথেকে তাদেরকে বাড়ি তৈরী করে দেব। যারা খাসজমি বরাদ্দ পাননি, তাদেরকে এলাকা ভিত্তিক খাসজমি পেতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। সেইজন্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সমুহকে আবেদন করতে হবে। তিনি অনুষ্ঠানে ঘোষনা দেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা মিলনায়তনটি আমরা একজন গর্বিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নাম করণ করতে চাই।
ওইসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান , থানার ওসি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতিতে সমবেত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষথেকে বলা হয়, উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা মিলনায়তনটি শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের সম্মাণে নামকরণ করা হোক।
ইউএনও চকরিয়ার প্রস্তাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ একমত পোষন করে মতামত দেন। সবাই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানান। এরপর ইউএনও শিবলী নোমান ঘোষনা দেন, এখন থেকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের নামে উৎসর্য করা হলো।
জানতে চাইলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়ার ইউএনও নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অকৃত্রিম সম্মান জানিয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা মিলনায়তনটি একজন গর্বিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নাম করণ করতে প্রস্তাব দিই।
ওইসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান , থানার ওসি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সমবেত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষথেকে বলা হয়, প্রস্তাবটি নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাই উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা মিলনায়তনটি শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের সম্মাণে নামকরণ করা হোক।
ইউএনও বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবের পক্ষে একমত পোষন করে মতামত দেন। এখন থেকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনা শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের নামে উৎসর্য করা হলো। আমরা এই বিষয়টি অতি সহসা লেজুরেশন সহকারে কার্যকর করবো।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের গ্রামের বাগি চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী। শহীদ হাবিলদার আবুল কালাম ছিলেন একজন সৈনিক। ১৯৭১ সালে তিনি দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ১ নম্বর সেক্টরে। র্পাবত্য চট্রগ্রামের কেরানী পাড়ায় তিনি পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হন।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম।
চকরিয়া উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হাবিবুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুটু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাজি আবু মো.বশিরুল আলম। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৪:৪৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy