কক্সবাংলা ডটকম(২৭ নভেম্বর) :: আইসিইউ-তে পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। শনিবার রাতে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে চলে এল আলবিসিলেস্তেরা। আর দলকে অক্সিজেন জুগিয়ে গেলেন সেই লিওনেল মেসি। কার্যত হঠাৎ করেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। ডান দিক থেকে বল রিসিভ করে ডি মারিয়া কাট করে ঢুকে স্কোয়ার পাস বাড়িয়েছিলেন দলের ক্যাপ্টেনকে। সেই সময়ে মেক্সিকো বক্সের উপরেই মার্কিং ছাড়া ছিলেন মহাতারকা। সেখান থেকেই প্রায় ২০ গজি শট আছড়ে ফেললেন মেক্সিকোর জালে।
তারপরে মাঝরাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘গোট’ শব্দ বন্ধনী মুহূর্মুহু আছড়ে পড়তে থাকে। এর আগেও শত শত দৃষ্টিনন্দন গোল করেছেন। যে গোল বিশ্বকে কাদিয়েছে, হাসিয়েছে। আবেগের স্রোতে ধুইয়ে দিয়েছেন। তবে প্রাসঙ্গিকতা বিচার করলে মেসির এই গোল হয়ত বিশ্বকাপ কেরিয়ারের সর্বোত্তম। কেরিয়ারের ৭৮৮ গোলের মধ্যে হয়ত অন্যতম সেরা গোলের আসন হয়ে থাকল মেসির হৃদয়ে।
মেসির ম্যাজিক গোলের আগে পর্যন্ত আর্জেন্টিনা পাতি বাংলায় কার্যত খোঁড়াচ্ছিল। হারে যেমন বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যেত, তেমনই ড্র করলেও আশাভঙ্গ নিয়ে দেশে ফিরতে হত নীল-সাদা জার্সিধারীদের। প্রথমার্ধে মেক্সিকোর হাই প্রেসিং ফুটবলের সামনে আর্জেন্টিনা সেভাবে আক্রমণ শানাতে পারছিল না। মাঝমাঠের জটলায় আটকে পড়ছিলেন মেসিও। কোনও স্পেসই পাচ্ছিলেন না। বিরতির আগে মেসি এবং লাউতারো মার্টিনেজের একটি প্রচেষ্টা ছাড়া বলার মত কিছু নেই আর্জেন্টাইন ফুটবলের।
🗣️ "We had to win"
With the fear of a #FIFAWorldCup exit looming, Lionel Messi reflects on a superb performance from his @Argentina's teammates and a massive victory against Mexico.
🇦🇷#ARGMEX🇲🇽 #YoursToTake #Budweiser #POTM @budfootball pic.twitter.com/dKzXjWzkZ5
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 27, 2022
এমন পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকেই দলকে মোক্ষম সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে রোমাঞ্চকর গোলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন মেসি। তারপরে তো এনজো ফার্নান্দেজের স্বপ্নের ফিনিশে জয় নিশ্চিত হল।
আর মেক্সিকো ম্যাচে রূপকথার গোল করে মহাতারকা ছুঁয়ে ফেললেন স্বয়ং দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনাকে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল সংখ্যার নিরিখে। মেসি এবং ম্যারাডোনা দুই কিংবদন্তিরই বিশ্বকাপ গোলসংখ্যা আট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মেসি এবং ম্যারাডোনা দুজনেই আট গোল করেছেন ২১টি বিশ্বকাপের ম্যাচে খেলে। ঘটনাচক্রে মারাদোনার দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকীর একদিন পরেই এল মেসির তাঁকে স্পর্শ করার বিশ্ব নজির।
যাইহোক, মেক্সিকো ম্যাচে স্বপ্নের জয় পেলেও মেসি ব্রিগেডের এখনও প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়নি। আপাতত আর্জেন্টিনার প্রার্থনা একটাই। মেসি যেন এই স্বপ্নের ছন্দ ধরে রাখতে পারেন। দু-ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা আপাতত পোল্যান্ডের পরেই গ্রুপে দ্বিতীয়। শনিবার-ই পোল্যান্ড সৌদি আরবকে হারানোয় দু-ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। তিন নম্বরে তিন পয়েন্ট নিয়ে সৌদি আরব। এক পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের একদম তলানিতে মেক্সিকো।
অঙ্কের বিচারে সহজ সমীকরণ হল, শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতেই হবে পোল্যান্ডকে। বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনা পোল্যান্ডকে হারালে পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। ড্র করলেও আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোয় পৌঁছতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রুপের বাকি ম্যাচে সৌদি আরব বনাম মেক্সিকো ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে মেসিদের।
হেরে বিদায় নিতে হবে না তো বিশ্বকাপ থেকে? মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে থেকে এমন সম্ভাবনা কিন্তু ছিল প্রবলভাবে। বিশেষ করে সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার জঘন্য পারফরমেন্স সমর্থকদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা জানেন কিভাবে ফিরে আসতে হয়।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে আগে বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হলেও তার আগে দুবার হেরেছেন চিলির কাছে ফাইনালে। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে হার। তাই আশঙ্কা একটা ছিলই মনের মধ্যে। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে এমন নয়।
আরও পড়ুন – ফিনিক্স পাখির মতো কামব্যাক আর্জেন্টিনার, মেসি এবং এনজোর গোলে পরাজিত মেক্সিকো
বরং বেশ লড়াই দিচ্ছিল মেক্সিকানরা। একটা দুটো হাফ চান্স ছাড়া কিছু করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার স্টাইল পরিবর্তন করে জায়গা বদল করতেই মেক্সিকো দিশা হারিয়ে ফেলে। ৬৪ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত গোল বিশ্বাস দিল আর্জেন্টিনা শিবিরকে। গোল পেয়ে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনাকে আর আটকাতে পারিনি মেক্সিকো।
এরপর কয়েকটা পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনার খেলার গতি বাড়িয়ে দেন কোচ স্কালোনি। ৮৭ মিনিটে সেই পরিবর্তনের ফলেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় নীল সাদা। এনজোর গোলটা মেসির থেকেও বেশি দর্শনীয়। অবশেষে লিওনেল মেসি জানিয়েছেন, প্রথমার্ধে মেক্সিকোর স্টাইল বুঝে নিতে চেয়েছিলেন তারা। আত্মবিশ্বাস ছিল দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেয়ে যাবে দল। সেটাই হয়েছে।
তবে এদিন আর্জেন্টিনা ডিফেন্স অসাধারণ পারফর্ম করেছে। মেসি জানিয়েছেন ফুটবল জীবনের মত। ঈশ্বর আরও একটা সুযোগ দিয়েছেন। বিশ্বকাপে তারা টিকে রয়েছে। এখন লক্ষ্য নিজেদের মনোযোগ ধরে রেখে গ্রুপের শেষ ম্যাচ পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও ৩ পয়েন্ট পাওয়া। তাহলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
পাশাপাশি নিজের স্ত্রী এবং ছেলেদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিও। সৌদি ম্যাচের পর তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য পরিবারের অবদান উল্লেখ করেছেন মেসি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গ্যালারিতে ছিলেন মেসির স্ত্রী এবং তিন ছেলে। বিশেষ করে দলের জুনিয়র ফুটবলারা যে তাগিদ দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। জানিয়ে দিয়েছেন স্বপ্ন অনেক দূর, কিন্তু একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান।
স্টেডিয়াম জুড়ে সেই সময় জনবিস্ফোরণ। কারও চোখের জল বাঁধ মানছে না, কেউ আবার আনন্দে আত্মহারা। কাতারের লুসেইল স্টেডিয়াম না আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরস তা বোঝা দায়। কাতারের মরুভূমির বালি ঝড় আর প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আর্জেন্টিনার রাজধানীর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তখন মিলে মিশে একাকার। কারণ একটাই। আরও একবার সমালোচকদের জবাব দিয়ে সেই বাঁ পায়ের ঝলকানিতে ওচোয়া নামক ‘দিওয়ারকে’ ভেদ করেছেন লিওনেল মেসি। একইসঙ্গে ম্যাজিশিয়ানের জাদু পায়ের ছোঁয়ায় বেচে থাকল কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। প্রশ্নের মুখে ফেলছিল লিওনেল মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে। পারবেন কি এল এম টেন এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে? সেই প্রশ্ন ঘুরছিল ফুটবল বিশ্বে। তার উত্তর যে ১০ নম্বর জার্সিধারীর বাঁ পায়েই লুকিয়ে তাও জানা ছিল সকলের। কারণ বারবার তাঁরই দায়িত্ব দুর্বল একটা দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার। দলটার প্রাণভোমরাই যে তিনি। আর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মেসির বাঁ পায়ের চকিতে শট জালে জড়াতেই স্বার্থক কোটি কোটি মানুষের বিনিদ্র রজনী। আর মেসির পায়ে ‘ডেডলক’ ভাঙতেই তারপর এনজো ফার্নান্ডেদের বিশ্বমানের গোল। ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে রূপকথার উত্থান নীল-সাদা ব্রিগেডের।
১৯৯৩ সালের পর দেশকে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন করেছেন লিওনেল মেসি। প্রায় তিন দশক আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের যে খরা আর্জেন্টাইন ফুটবলে চলছিল সেই শাপমোচন করেছে মেসির দল। এসেছে ফিনালিসামা ট্রফিও। পরপর দুটি ট্রফি দিয়েছেন দেশকে। নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই লোকটার। তবুও বারবার পরীক্ষা দিতে হবে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাকেই। কারণ সমালোচকদের মতে বিশ্বকাপটা যে এখনও অধরা।
১৯৫৪ সালে পুসকাসের হাঙ্গেরির কাছেও অধরা ছিল সোনার ট্রফিটা। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ এখনও ‘পুসকাস বিশ্বকাপ’ নামেই খ্যাত। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ইওহান ক্রয়েফের নেদারল্যান্ডস, রজার মিল্লার ক্যামেরুন দলকেও চিরকাল স্মরণে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। তবে মেসির কাছে এখনও শেষ সুযোগ রয়েছে অধরা বিশ্বকাপটা স্পর্শ করার। উল্টে বলা চলে বিশ্বকাপটার শেষ সুযোগ মেসির ছোঁয়া পাবার।
অবিশ্বাস্য গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। বাঁচিয়েছেন খাদের কিনারা থেকে। বিশ্বকাপ থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা থেকে জাদুগরের মত ফিরিয়ে এনেছেন দলকে। রূপকথার প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থেকেছে আইকনিক লুসেইল স্টেডিয়াম। লিওনেল আন্দ্রেস মেসি আর্জেন্টিনার বরাবরের মত মেসিহা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। নিজের শেষ বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়ে শক্তিশালী মেক্সিকোকে মাটি ধরিয়েছেন একাই। স্পর্শ করেছেন গুরু দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার বিশ্বকাপ গোলের ম্যাজিক সংখ্যা।
স্বপ্নপূরণের রাতের পর আরও একবার হৈচৈ বাঁ পায়ের ঈশ্বরকে ঘিরে। আর মেক্সিকো ম্যাচের পরেই ফোকাসে মেসির বুট। সোনালি কাস্টমাইজড বুট পরে এবার কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ রাঙিয়ে দিতে নেমেছেন। বিশেষ এই বুট মেসির হৃদয়ের খুব কাছের। বুটে খোদাই করা রয়েছে দুই পুত্রের নাম এবং জন্মসাল। বুটে লেখা রয়েছে- ‘থিয়াগো ০২ ১১ ১২, মাতেও ১১ ০৯ ১৫’। মেক্সিকো ম্যাচের পরেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয় মেসির বুট। তারপরেই তা ভাইরাল, ট্রেন্ডিং। সমর্থকরা ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে বলছেন, ‘শাসকের জন্যই যেন বানানো হয়েছে এই বুট’।
প্রথমার্ধে অনেকটাই ছন্নছাড়া মেসির আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোর হাই প্রেসিং ফুটবল চাপে রেখেছিল আর্জেন্টিনাকে। মাঝমাঠেও মেসিও সেভাবে স্পেস পাচ্ছিলেন না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে স্রেফ একটা টাচেই প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিলেন এলএমটেন। মারিয়ার কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়েই দর্শনীয় শট। যা পরাস্ত করে বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার ওচোয়াকে।
সেই গোলের পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি নীল-সাদা জার্সিধারীদের। গোলের পর রক্ষণ মজবুত করার জন্য আর্জেন্টাইন কোচ ডি মারিয়াকে তুলে নামিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে। পাল্টা মেক্সিকো কোচ এক ডিফেন্ডারকে তুলে ফরোয়ার্ড রাউল জিমেনেজকে নামিয়ে দেন। তবে শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টিনাই। পরিবর্ত হিসাবে নামা এনজো ফার্নান্দেজের ৮৭ মিনিটের গোলে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার।
প্রথমার্ধে মেক্সিকোর খেলার ধরন বুঝে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে স্টাইল পাল্টায় আর্জেন্টিনা, তাতেই আসে সাফল্য। এভাবেই ডিফেন্ডারদের কাজ কঠিন করে দেন মেসি
পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নেমে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন এনজো ফার্নান্ডেজ। বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার বাঁক নিয়ে বল গোলে ঢুকে যায়
২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর ফার্নান্ডেজকে নিয়ে সেলিব্রেশন মেসির। বেনফিকা ক্লাবের এই তরুণ ফুটবলার মুগ্ধ করেছেন যতক্ষণ মাঠে ছিলেন
প্রতিটা বলের জন্য লড়াই করেছে মেক্সিকো, বিশেষ করে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে খেলার ফাঁকা জায়গা দেয়নি তারা
মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়া খেলার আগে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু শেষে মেক্সিকান প্রাচীর পরাজিত
আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও আটকাতে পারলেন না ওচোয়া
আর্জেন্টিনার মাঝ মাঠে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন রডড্রিগো ডে পল। দলের আক্রমণ এবং ডিফেন্সের মাঝে যোগসূত্র ছিলেন তিনি
গোল করা নয়, দলের প্রয়োজনে ডিফেন্স করতেও দেখা গেছে অধিনায়ক মেসিকে। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পেয়েছিলেন নিজের সেরা ছন্দ
গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার মহিলা সমর্থকরাও। ম্যাচ জয়ের পর তারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন
আর্জেন্টিনা গোল করতেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন সমর্থকরা। সৌদির বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছিল
Posted ৩:৩৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Chy