কক্সবাংলা ডটকম(২৯ অক্টোবর) :: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া ‘ঠাণ্ডা লড়াই’-এর পর ২০১৯ সালে সারা দুনিয়ায় সামরিক ব্যয় সর্ব্বোচ অবস্থানে এসেছে। এই ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে তালিকায় ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরে রয়েছে চীন। রাশিয়ার চেয়েও সামরিকখাতে বেশি ব্যয় করছে সৌদি আরব।
সুইডেনের ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রি ২০১৯ সালে সামরিক খাতে বিভিন্ন দেশের খরচের তথ্য প্রকাশ করেছে৷ প্রথমবারের মতো শীর্ষ তিন-এ এশিয়ার দুটি দেশের নাম এসেছে৷
সিপ্রি বলছে, ২০১৯ সালে সামরিক খাতে বৈশ্বিক খরচ ছিল ১৯১৭ বিলিয়ন ডলার৷ এর মধ্যে ৬২ শতাংশই করেছে শীর্ষ পাঁচটি দেশ৷ ২০১৯ সালে ২০১৮ সালের তুলনায় সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ৷ এটি ২০১০ সালের পর কোনো এক বছরে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার৷
বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
২০১৯ সালে ব্যয় ৫.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৩২ বিলিয়ন ডলার, যা পুরো বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ৷ খরচ বাড়ার কিছু কারণের মধ্যে আছে পুরনো অস্ত্র ও পারমাণবিক বোমার সংগ্রহশালার আধুনিকীকরণ এবং প্রায় ১৬ হাজার নতুন সামরিক সদস্য নিয়োগ৷ এছাড়া চীনের জন্যও যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
চীন দ্বিতীয়
সিপ্রির প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সামরিক খাতে শীর্ষ তিন খরুচের তালিকায় এশিয়ার দুটি দেশের নাম এসেছে৷ তিনে থাকা ভারতের নাম আগেই বলা হয়েছে৷ সিপ্রির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন৷ ২০১৯ সালে তাদের ব্যয় ৫.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬১ বিলিয়ন ডলার৷
ভারত এখন তৃতীয়
পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনা থাকায় ২০১৯ সালে ভারত সামরিক খাতে ৭১.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৬৬.৫ বিলিয়ন ডলার৷
চারে রাশিয়া
২০১৯ সালে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫.১ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির জিডিপির ৩.৯ শতাংশ৷
পাঁচে নেমে গেছে সৌদি আরব
আগের তালিকায় তিন নম্বরে ছিল সৌদি আরব৷ ২০১৯ সালে ১৬ শতাংশ ব্যয় কমিয়েছে দেশটি৷ গতবছর দেশটি ৬১.৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে৷ ইয়েমেনে সামরিক অভিযান ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় কমানোতে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্লেষকরা৷
ইইউতে প্রথম ফ্রান্স, বিশ্বে ষষ্ঠ
২০১৯ সালে ফ্রান্স ৫০.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা দেশটির জিডিপির ১.৯ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে তাদের ব্যয় ছিল ৫১.৪ বিলিয়ন ডলার৷
সাত-এ জার্মানি
২০১৯ সালে জিডিপির ১.৩৮ শতাংশ ব্যয় করেছে জার্মানি, সংখ্যার হিসেবে যা ৪৯.৩ বিলিয়ন ডলার৷ ২০১৮ সালে ছিল ৪৬.৫ বিলিয়ন৷ অর্থাৎ, জার্মানির ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশ, যা সিপ্রির তালিকার শীর্ষ ১৫টি খরুচে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ রাশিয়ার কাছ থেকে হুমকি বাড়া এর একটি কারণ বলে মনে করছেন সিপ্রির বিশ্লেষকরা৷
আটে যুক্তরাজ্য
২০১৯ সালে দেশটি জিডিপির ১.৭ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে- ৪৮.৭ বিলিয়ন ডলার৷ ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪৯.৮ বিলিয়ন ডলার৷
শীর্ষ দশে এশিয়ার আরো দুই দেশ
সিপ্রির তালিকায় শীর্ষ ১০ খরুচে দেশের তালিকায় নয় ও দশ নম্বরে যথাক্রমে আছে জাপান (৪৭.৬ বলিয়ন ডলার) ও সাউথ কোরিয়া (৪৩.৯ বিলিয়ন ডলার)৷
বাংলাদেশ
২০১৯ সালে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ছিল ৪,৩৫৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৮ সালে যা ছিল প্রায় ৩,৬৯২ মিলিয়ন ডলার৷
Posted ১:২২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy