কক্সবাংলা ডটকম(১৬ জানুয়ারি) :: ব্রেক্সিট বিতর্কে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের৷ প্রধানমন্ত্রীর তৈরি করা ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে বিরোধী লেবার পার্টি ছাড়াও ভোট দিলেন কনসারভেটিভ পার্টির এমপি-রাও৷ এদিন চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে ভোট পড়ে ৪৩২-২০২৷ ২৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাস্ত হয় থেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া৷
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেড়িয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন৷ এই বিচ্ছেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে হওয়ার কথা। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে? তানিয়ে জোর জল্পনা চলে৷ একটি খসড়া চুক্তিও তৈরি করেন ব্রিনের প্রদানমন্ত্রী থেকেসা মে৷। যা কার্যকরের জন্য প্রয়োজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদনের৷
প্রথম থেকেই মের খসড়া চুক্তি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল৷ উত্তেজনা ছিল দেশজুড়ে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের তৈরি করা ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর বিরোধী লেবার পার্টি তো ছাড়াও নিজ দল কনসারভেটিভ বহু এমপির সম্মতি ছিল না৷ এই প্রেক্ষাপটে পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে-এ ভোটগ্রহণ হয়। তাতেই পরাজিত প্রধানমন্ত্রী৷ যা এককথায় নজিরবিহীন ব্রিটেনের রাজনীতিতে৷
পার্লামেন্টে হারের পর ব্রিটেনে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দাম পড়তে শুরু করেছে৷৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে সবার সঙ্গে কতা বলে সমাধানসূত্র বার করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা৷
ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ হয়ে যাওয়ার পর টেরেসা মে-র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন লেবার পার্টির নেতা জেরমি কেবিন। ভোটে জিততে না পারলে ১৪ দিনের মধ্য ফের নতুন করে সরকার গঠনের সময় পাবে কনজ়ারভেটিভ সরকার। তাতে ব্যর্থ হলে সাধারণ নির্বাচনের পথে যেতে হবে ব্রিটেনকে।
তবে, ব্রিটেনের পরবর্তী নির্বাচন ২০২২ সালে। নিজের দলের অনেক এমপি টেরেসা মে-র পাশে না থাকলেও তিনি সমর্থন পেয়েছে নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির এমপি-দের। ফের ব্যর্থ হলে টেরেসা মে-র পদত্যাগ কিংবা ফের গণভোটের সাক্ষী হতে পারেন ব্রিটেন৷
Posted ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy