কক্সবাংলা ডটকম :: চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
দাম কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের ওপর থেকে সব আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে দুই মাস আগে।
এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে চাল আমদানি হয়েছে। আরও লাখ টন চাল আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানির পরও এর কোনো প্রভাব বাজারে নেই।
টিসিবির তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে গরিবের মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে।
দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অভিযানে জরিমানাও সুফল মিলছে না।
রাজধানীতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে মিনিকেটের দাম, অন্যান্য চালের দামও বাড়তি।
দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। ২ থেকে ৫ টাকা দর বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়।
এ ছাড়া পুরনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতি ৯৪ থেকে ৯৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, মোটা চালের দাম বেড়েছে সর্বশেষ এক সপ্তাহে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা।
এ সময়ে মাঝারি চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। সরু চালের দাম এক সপ্তাহে বাড়েনি। কিন্তু এক মাসের হিসাবে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, মোটা চালের কেজি এখন ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
যা এক বছর আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে মাঝারি চালের দাম এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা। আর এক বছর আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৮৪ টাকা, এক সপ্তাহ আগেও ছিল একই দাম।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চাল দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ভারত থেকে প্রথমবার ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল আমদানি করেছে।
এরপর জিটুজি চুক্তির আওতায় আগামী ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে।
এর আগে ১০ জানুয়ারি ভারত থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বাল্ক ক্যারিয়ারবাহী জাহাজে প্রায় ২৭ হাজার টন সিদ্ধ চাল বন্দরে আসার কথা আছে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে গতকাল জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজধানীর বাবু বাজার এলাকায় অভিযান চালায়।
অভিযানে বস্তায় মিলগেট মূল্য না থাকা, স্টক রেজিস্ট্রার রক্ষণাবেক্ষণ না করা, ক্যাশ মেমো দেখাতে না পারায় রাজীব এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় বাবু বাজারে ৮০টি পাইকারি ব্যবসায়ী নিয়ে তাৎক্ষণিক মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় আমনের ভরা মৌসুমে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্যভাবে মুনাফা করে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাবু বাজার চাল বিক্রেতা মেসার্স ভুইয়া রাইস এজেন্সির মালিক মো. বরকত উল্লাহ সোহেল বলেন, এবার বন্যায় চালের সরবরাহ কমেছে। তা ছাড়া ত্রাণ হিসেবে অনেকে চাল বেশি কিনেছেন। ফলে বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি হয়েছে। এরপর থেকে চালের দাম বেড়েছে।
Posted ১:২০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta