কক্সবাংলা ডটকম(২ জুন) :: বিশ্বের মানচিত্রে গত এক দশকে প্রবল শক্তিশালী দেশ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। দেশকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। গত তিন বছরে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। দেখে নিন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সফলতার নিদর্শন।
১)দীর্ঘদিন ধরে যে সমস্ত জওয়ান দেশের সেবা করেছেন অবসর নেওয়ার পর তারা যাতে অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে চালু করা হয়েছে ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন প্রকল্প। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন সারা দেশের প্রায় ২০ লক্ষ অবসরপ্রআপ্ত সেনাকর্মী। একই পদ থেকে বিভিন্ন সময়ে অবসর গ্রহণ করা সেনাকর্মীদের মধ্যে এর ফলে পেনশনে বৈষম্য দূর হয়েছে।
২)গত তিন বছরে দেশীয় প্রযুক্তিতে অতি উন্নত যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে ভারত। ২০১৬ সালের ১লা জুলাই লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজাস যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে। ৪০ টি যুদ্ধবিমান এর মধ্যেই এসে গেছে ভারতের হাতে। আরো ৮৩টি তেজাস তৈরির কাজ চলছে।
৩)প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।
i)৩৬ টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সাথে ৫৯২২০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।
ii)রাশিয়ার থেকে S-400 TRIUMPH AIR DEFENCE MISSILE এবং উন্নত মানের যুদ্ধজাহাজ।
প্রতিবেশী চিন এবং পাকিস্তানের বিপুল মাত্রায় বাড়িয়ে চলেছে সামরিক শক্তি।সুরক্ষাব্যবস্থাকে সুসংহত করতে তাই বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী ANTI AIRCRAFT AND ANTI MISSILE DEFENCE SYSTEM কিনতে চলেছে ভারত। রাশিয়ান S-400 TRIUMF নামক এই মিসাইল সিস্টেমটি অতি আধুনিক এবং বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন।এটি মধ্য এবং দুরপাল্লা দুই ক্ষেত্রেই আঘাতের ক্ষমতা রাখে।
সামরিক সুত্র থেকে জানা গেছে এটি ৭২ টি মিসাইলকে পরিচালনা করতে এবং ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পরপর ৩৬ টি মিসাইল নিক্ষেপে সমর্থ।শুধু তাই নয়, যে কোন JAMMING AIRCRAFT, AWACS, INTERCEPT STEALTH AIRCRAFT, RECONNAISSANCE, STRATEJIC AND TACTICAL AIRCRAFT কে আঘাতে সক্ষম। এছাড়াও যেকোন OPERATIONAL TACTICAL BALLISTIC MISSILE, MEDIUM RANGE BALLISTIC MISSILE,CRUISE MISSILE, HYPERSONIC TARGET এবং যে কোন AIR STRIKE প্রতিরোধে সমর্থ।
S-400 সর্বোচ্চ ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে ৪.৮ কিলোমিটার/সেকেন্ড গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম।
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটির মূল বৈশিষ্ট্য হল,
১) যে কোন উচ্চতায় আঘাত হানতে সক্ষম এটি
২) UAV প্রযুক্তি ব্যবহার করে শত্রুকে নিখুত আঘাতে সক্ষম
৩)শত্রুর জ্যামার ব্যবস্থাকে অচল করে দিতে সক্ষম।
৪) জলযুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী
৫) বহুমুখী এয়ার ডিফেন্স প্রযুক্তিসম্পন্ন
আগামী দিনে ভারত যে উপমহাদেশে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ঊঠছে S-400 বহন করছে সেই বার্তাই।
iii)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে M777 ULTRA LIGHT HOWITZERS ক্রয় করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।
iv) KAMOV 226 T হেলিকপ্টার তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত এবং রাশিয়া।
৪)ABHAY COMPACT HULL MOUNTED SONAR FOR SHALLOW WATER CRAFT,HUMSA UG UPGRADE FOR THE HUMSA SOANAR SYSTEM,AIDSSS-ADVANCE INDIGENOUS SONAR SYSTEM FOR SUBMARINES,NACS NEAR FIELD ACOUSTIC CHARACTERISATION SYSTEM,২০১৬ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ডিআরডিও।
৫)গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ব্যালিস্টিক মিসাইল সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। ২০১৭ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী মাসে বঙ্গোপসাগর থেকে EXO ATMOSHPHERIC INTERCEPTOR MISSILE উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। ২০১৭ সালের ১লা মার্চ ENDO ATMOSHPHERIC INTERCEPTOR MISSILE সফলভাবেউৎক্ষেপণ করা হয়েছে। শুধু তাই ব্যালিস্টিক মিসাইল আক্রমন প্রতিরোধের জন্য ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সফল হয়েছে ভারত।
১. পৃথ্বী: এটি একটি সার্ফেস টু সার্ফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল
পৃথ্বী-১:
রেঞ্জ- ১৫০ কিমি
বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি পরমাণু ওয়ারহেড
পৃথ্বী-২:
রেঞ্জ- ৩৫০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৩৫০-৭৫০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড
২. ধনুষ:
রেঞ্জ- ৩৫০ কিলোমিটার
৩. অগ্নি: এটি একটি লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল
অগ্নি-১:
রেঞ্জ- ৭০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৭৫০-১০০০ কেজি ওয়ারহেড
অগ্নি-২:
রেঞ্জ- ২০০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড
অগ্নি-৩:
রেঞ্জ- ৩০০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ২০০০-২৫০০ কেজি ওয়ারহেড
অগ্নি-৪:
রেঞ্জ- ৩৫০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৮০০-১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড
অগ্নি-৫:
রেঞ্জ- ৫৫০০-৫৮০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ১৫০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড
অগ্নি-৬:
রেঞ্জ- ৬০০০-৮০০০ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড
৪. K সিরিজের সাবমেরিন লঞ্চড মিসাইল
K-15
রেঞ্জ- ৭৫০ কিলোমিটার
K-4
রেঞ্জ- ৩০০০ কিলোমিটার
৫. আকাশ মিসাইল:
রেঞ্জ- ২৫ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৬০ কেজি ওয়ারহেড
৬. ত্রিশুল:
রেঞ্জ- ৯ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৫.৫০ কেজি ওয়ারহেড
৭. নাগ:
রেঞ্জ- ৩-৭ কিলোমিটার
বহন ক্ষমতা- ৮ কেজি অ্যান্টি-ট্যাংক ওয়ারহেড
৮. ব্রহ্মোস:
রেঞ্জ- ২৯০ কিলোমিটার
Posted ১:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta