বার্তা পরিবেশক :: আলতাজ ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও গাড়ী চালক। দেখলে মনে হয় না সে একজন সরকারী চাকুরে। সারাক্ষণ এ ব্যবসা-সেই ব্যবসা নিযে ব্যস্ত। প্রায় ২০ বছর একই স্থানে বহাল তরিয়তে।
সরকারী একটি সংস্থার অনুসন্ধানে তার ভয়ঙ্কর অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অভিযোগ উঠছে ২০০৪/২০০৫ সালের দিকে সরকারী পাওনা ফাঁকি দিয়ে ভি.ও.আই.পি ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
লিংক রোডে বহুতল ভবন, চেইন্দা গ্রামের বাড়ীতে ৫ তলা ফাউন্ডেশনের ভবন, শহরের গাড়ীর মাঠে আলিশান বাড়ী, প্রিন্স শোর হোটেল ভাড়ায় অংশীদার, কক্সলাইন পরিবহনে অংশীদার, রহিম এন্টারপ্রাইজ নামে মাহেন্দ্র গাড়ীর কোম্পানী প্রতিষ্ঠা, নামে-বেনামে অসংখ্য ভু-সম্পত্তি কেনা সহ সম্পদের পাহাড় গড়েছে।
এ আলতাজের এত টাকার উৎস কি? তার নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে নিজের ২য় স্ত্রী করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী ও ছোট মেয়ের শোকে কাতর প্রবাসী কাশেম সম্প্রতি স্ট্রোক করে সৌদি আরবের জেদ্দায় মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরো জানা গেছে কাশেমের লক্ষ লক্ষ টাকা, কেনা জমি, বিভিন্ন ব্যবসার শেয়ার বউয়ের মাধ্যমে আলতাজ হাতিয়ে নিয়েছে। তার নিজ এলাকা চেইন্দা খোন্দকার পাড়ায় জনৈক জাফর আলম (৫৫), পিতা-মৃত মোঃ মুসলিমের চার কানি জমি জাল ষ্ট্যাম্প সৃজন করে নিজ নামে করে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য ব্যক্তি থেকে টাকা নিয়ে অনেককে সর্বশান্ত করার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে নানা পেশার মানুষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছে। সকাল-সন্ধ্যা ব্যবসার পেছনে সময় দিলে তার অফিস টাইম কখন? প্রশ্ন উঠেছে তাহলে তার পেছনে বড় কর্তারা কি প্রশ্রয় দাতা?
Posted ৫:২৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ নভেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy