কক্সবাংলা রিপোট(৯ আগস্ট) :: কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলের জলদস্যু ও অস্ত্র কারবারিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা বন্ধে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছিলেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস।
প্রক্রিয়া শুরুর সময় প্রদীপ মহেশখালী থানার ওসি ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে তাদের আত্মসমপর্ণ প্রক্রিয়ায় এক প্রকার প্রকাশ্যে বাধা দেন প্রদীপ কুমার। কারণ তিনি এসব অপরাধী চক্রের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করতেন।
পরে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সুরাহা হয়। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে ওসি প্রদীপ কুমার দাস মহেশখালী থানা থেকে টেকনাফ থানায় বদলি হয়ে আসেন।
এরপর প্রভাস চন্দ্র ধরকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইওয়ান পদ থেকে মহেশখালী থানায় ওসি নিয়োগ করা হয়।
তিনি মহেশখালী বদলি হয়ে আসার পর ২০১৯ সারেরর ২৩ নভেম্বর উপকূলের প্রায় ১০০ জন জলদস্যু ও অস্ত্র কারবারি আত্মসমর্পণ করে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত,পুলিশের সাময়িক বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
Posted ৩:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy