বার্তা পরিবেশক(১৭ ডিসেম্বর) :: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন মাধ্যমে জানা গেছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্যাঁচারদ্বীপ সৈকতের ‘গুডভাইভ’ কটেজে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভ্রমণে আসা এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ওই কটেজের মালিকসহ তিনজনকে আটকও করেছে। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে রামু থানায় মামলাও করেছে।
অথচ গত ১৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন পোট্টালে প্রচার হয়েছে মারমেইড বচি রিসোর্টে অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে।
এঘটনায় মারমেইডের মালিকসহ কয়েকজনকে নাকি আটক করা হয়েছে। এটা মারমেইডের বিরুদ্ধে মহল বিশেষের পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে-ঘটনার সাথে মারমেইড রিসোর্ট কোনভাবে জড়িত না। গুডভাইভ কটেজটি মারমেইড থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে। বিদেশি তরুণীর নিরাপত্তাজনিত অবহেলার দায়ে কটেজ মালিককেও আটক করেছে পুলিশ। অথচ সঠিক তথ্য যাছাই বাছাই না করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মারমেইডের মত একটি প্রতিষ্টিত ব্যবসা প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। যা দু:খজনক।
বিশেষ করে মাইমেইড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ চিকিৎসা জনিত কারণে বিগত চার মাস ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। অথচ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিদেশী তরুণী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় জনাব আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়। এতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে মারমেইড কর্তৃপক্ষ দেশিবিদেশি পযটকদের নিরাপদ সেবা দিয়ে আসছে। একারণে অধিকাংশ বিদেশি পযটকের প্রিয় ঠিকানা এখন মারমেইড। খাবারের বৈচিত্রতা, গুণগতমান ধরে রেখে মারমেইড কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিপুল তরুণ-যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। একারণে মারমেইড অনেকের কাছে ঈর্ষার কারণও হতে পারে।
আমরা কক্সবাজারের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখি। আমাদের খারাপ কিছু দেখলে সমালোচনা অবশ্যই হবে। কিন্তু মিথ্যা ঘটনায় মারমেইডকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হলে সাংবাদিকতার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে, তেমনি প্রতিষ্টিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হয়। যা কখনোই কাম্য নয়। এব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা আশা করছি।
মারমেইড পরিবার কর্তৃপক্ষ
কক্সবাজার।
