তাদেরকে বলা হয় ‘বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী’। কয়েক শত বছর ধরে মূলত মুসলিম সংখ্যাগুরু রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ সংখ্যা গরিষ্ঠ মিয়ানমারে বাস করছে।
নিচের মানচিত্রে দেখা যাবে বিশ্বে রোহিঙ্গাদের অবস্থান যেখানে আছে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং এশিয়ার আরো কিছু দেশ যেখানে তারা ১৯৭০ সাল থেকে আশ্রয়ের সন্ধানে পাড়ি জমায়।
১৯৪০ সালে মিয়ানামারের জন্মলগ্ন থেকে রোহিঙ্গারা দেশটির সেনাদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
২০১৬ সালে মিয়ানামারের সেনা পোস্টে হামলার অভিযোগে দেশটির সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান শুরু করে যার ফলে প্রাণ বাঁচাতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসেও একই ধরণের হামলার অভিযোগে মিয়ানমারে আবার শুরু হয় নির্মম সেনা অভিযান এবং তারপর থেকে প্রাণ বাঁচাতে লাখো রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকাংশই আশ্রয় নিচ্ছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে।


কোন কোন দেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে?
১৯৭৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাদের নির্মম অভিযান শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গেছে। যাদের অধিকাংশেরই ঠাই মিলেছে বাংলাদেশে। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশেও আশ্রয় পেয়েছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা।

মিয়ানমারে আর কোন সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী আছে কি?
সরকারি হিসেবে মিয়ানমারে ১শ ৩৫টি সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী আছে। অথচ ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমার সরকার শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকিৃতি জানিয়ে আসছে।

কোন কোন গ্রামে আক্রমন চালানো হয়েছে?
অ্যামনেস্টি ইনটারন্যাশনাল এর তথ্য মতে, ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর রাখাইনের ৮০টির বেশি গ্রামে মিয়ানমার সেনা এবং উগ্র বৌদ্ধরা আগুন দেয়। মিয়ানমার সরকারের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা গ্রাম তথাকথিত ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের’ লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের মোট ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে এখন ১৭৬টি গ্রাম জনশূন্য এবং আরো ৩৪টি গ্রাম ‘আংশিকভাবে পরিত্যক্ত’।
