কক্সবাংলা ডটকম(৩০ জানুয়ারি) :: সাম্প্রতিক সময়ে কূটনীতিক পাড়ায় নানা কারণে আলোচিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিকরা মনে করেন ‘ফখরুল একজন রিজনেবল পলিটিশিয়ান’। তাকে ঘিরে নীরবে একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা চলছে কূটনীতিক পাড়ায়। যার নেতৃত্বে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ দূতাবাস, ইইউ বিএনপি অন্য নেতার চেয়ে এখন ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ভারতীয়দের কাছে বিএনপির যেকজন গ্রহণযোগ্য তার মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্যতম। একারণেই বিএনপিতে ফখরুল বিরোধীরা তাকে বিদেশীদের এজেন্ট মনে করে। তারা এটাও মনে করে যে, বিদেশীদের খুশী করতেই বিএনপি মহাসচিব ড: কামাল হোসেনের সঙ্গে জোট করেছিলেন এবং ৩০ ডিসেম্বর (২০১৮) নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
দলে সমালোচিত হলেও, তার কট্টর সমালোচকরাও তাকে এখন অপরিহার্য মনে করে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, নানা দূর্বলতা সীমাবদ্ধতার পরও বিএনপির মহাসচিব হিসেবে এই মুহূর্তে মির্জা ফখরুলের বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল এখনও দলের ভারসাম্যের প্রতীক।
বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলেন ‘তারেক জিয়া মির্জা ফখরুলকে বিশ্বাস করেননা। তার উপর নির্ভর করেন। তাকে ছাড়া দ্বিধা বিভক্ত বিএনপির ভারসাম্য রাখা কঠিন, এমত সকলের।
অন্যান্য বিরোধী দল যেমন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বামফ্রন্ট বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলকে একজন গ্রহণযোগ্য এবং আলোচনা করা যায় এরকম একজন বিএনপি নেতা মনে করেন।
বাম নেতারা বলেন, তিনিই বিএনপিতে (মির্জা ফখরুল) একমাত্র মডারেট নেতা। আওয়ামী লীগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গ্রহণযোগ্যতা ভালো। আওয়ামী লীগ সভাপতি ব্যক্তিগত ভাবে মির্জা ফখরুলকে পছন্দ করেন।
সময় সুযোগ পেলেই তিনি বিএনপি মহাসচিবের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারাও তাকে ‘সহনীয়’ মনে করেন। একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের যোগাযোগ আছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এবং বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেও ফখরুলের অবস্থান ভালো। তাকে সবাই ভালো মানুষ মনে করে।
আর এই প্রেক্ষাপটেই প্রশ্ন ওঠে ফখরুল আসলে কার? কারণ একটি নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী একজন রাজনীতিবিদ আসলে সকলের কাছে ‘ভালো’ হতে পারেন না।
Posted ১:১১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy