কক্সবাংলা ডটকম(২৩ জুলাই) :: রাখাইনের প্রায় ৩০টি গ্রামে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে যৌথ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ-মিয়ানমার সরকার। প্রদেশের মংডু ও বুথিডং শহরতলীর গ্রামগুলোতে পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশটির শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএনডিপি ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মিয়ানমারের পত্রিকা ইরাবতি সোমবার এ খবর জানিয়েছে।
শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী উ থেইন সোয়ে জানিয়েছেন, এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মংডুর ও বুথিডংয়ের ওই গ্রামগুলোতে জাতিগত ভ্রাতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করবে এ কমিটি।
প্রায় ১ বছর আগে রাখাইন প্রদেশের এ মংডু ও বুথিডং জেলায় সবচেয়ে বড় অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সংগঠিত বৌদ্ধ অধিবাসীরা। উ থেইন সোয়ে বলেন- মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধদের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি গোপন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা সম্প্রতি ফাঁস হয়।
খসড়া ওই চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি স্বীকার করা হয়নি। রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তাদের জাতিসত্তার অস্বীকৃতি থেকে।
১৯৮২ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কিভাবে রাখাইন রাজ্যে পুনর্বাসন করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে নেপিদো।
জানুয়ারিতে প্যানেল গঠন করা হলেও তার কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি নেই। ওই প্যানেলকে অকার্যকর ও অগ্রগতিহীন এবং তথাকথিত আখ্যায়িত করে প্যানেল থেকে চলতি সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছেন প্যানেল সেক্রেটারি এবং থাইল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কোবসাক চুতিকুল।
এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্যানেলটি গঠনের পরপরই সুচি সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা থেকে পদত্যাগ করেন মার্কিন প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিল রিচার্ডসন।
Posted ২:১৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy