মোর্শেদুর রহমান খোকন :: রামু উপজেলার মিঠাছড়িতে শ^শুরবাড়িতে বেড়াতে অবস্থানকালে খুন হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলীর জামাই দেলোয়ার। অলোচিত এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মৃতের ৫৪ দিন পর কবর থেকে লাশ তোলে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় সিআইডি। অভিযোগ উঠেছে শ^শুড় বাড়ির লোকজন এ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা ময়না তদন্তের পরে রিপোর্ট পক্ষে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
মামলার বাদি নিহত দেলোয়ারের ভাই সরওয়ার অভিযোগ করে বলেন শ^শুবাড়ির লোকজন দেলোয়ারকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে দেলোয়ারের লাশ প্রায় দু’মাস(৫৪দিন)পর গত ২১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন হয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চলকর সৃষ্টি হয়েছে। লাশ উত্তোলনের দৃশ্য দেখতে ঐ দিন শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। সরওয়ার জানান ময়না তদন্তের পর দিন থেকে আসামিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পক্ষে নিতে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বশির্ভুত করতে মোঠা অংকের মিশন নিয়ে হাসপাতালে নিয়মিত ড়ৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সরওয়ারের অভিযোগে প্রকাশ ডাক্তার ছাড়াও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে নানা ভাবে বশির্ভুত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মৃত কালা মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন গত ২৯ অক্টোবর রামুর মিঠাছড়ি ফকিরা ঘোনায় তার শ^শুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরদিন ৩০ অক্টোবর রাতে শ^শুরবাড়ির লোকজন কর্তৃক তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর শ^শুরবাড়ির লোকজন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে দেলোয়ার আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাপের বাড়িতে খবর দেয়। নিহত দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই সরওয়ার কামাল দেলোয়ারের শ^শুরবাড়িতে গিয়ে ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে কলাতলী এনে কবরস্থ করে। ঘটনার পরের দিন নিহত দেলোয়ারের শ^শুরবাড়িতে গিয়ে তার রক্তাক্ত জামা কাপড় পেয়ে সন্দেহ জাগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় সরওয়ার বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা করতে যায়। কিন্তু থানা মামলা গ্রহন না করায় আদালতে দায়ের করা হয় এ মামলা। আসামি করা হয় ২ শ্যালক ২ শালিকা,শ^শুড়ী ও স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে ৫ জনরে বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রামু-১ এ হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- সিআর-২৬২/২০২০। আদালত এই মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে অবশেষে ২১ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশেই মৃত দেলোয়ার হোসেনের লাশ মধ্য কলাতলীর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডি‘র ওসি মনির হোসেন জানান এখনো ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তিনি জানান রিপোর্ট পাওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy