মাঈনুদ্দিন খালেদ( ৭ জুলাই) :: পাহড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরবর্তী নদী ও খালের ভয়াবহ ভাংগন, ক্ষত-বিক্ষত অসংখ্য সড়ক ও ব্রীজ সরেজমিন পরিদর্শনে কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া এলাকা ছুটে যান রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাজান আলী।
৭ জুলাই শুক্রবার বিকেলে তারা উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জেলার র্দূগম এ দু ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় যান। এবং উপস্থিত লোকজনকে অভয় দেন দূযোগ মোকাবেলায়।
গত ৫ ও ৬ জুলাই অন্যান্য এলাকার মতো এ দুদিন ইউনিয়নে ঢলের বন্যায় বেশ কিছু এলাকা পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। রাস্তা-ঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে সর্বত্র। লোকজন নৌকা বা ভিন্ন বাহনে প্রয়োজন সারে।
এ অবস্থায় পরে পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে উপজেলার এ দু ’কর্ণধার প্রথমে যান কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়ার দূ:খ নাম খ্যাত নদীর ¯্রােতের ভয়াবহ তোড়ে বাকঁখালী ব্রীজের পূন:সংস্কার করা এপ্রোস সড়ক পানিতে বিলীন হওয়ার আগাম দৃশ্য দেখতে। আর এসবের রক্ষায় বল্লী স্পার নির্মানকাজ পরিদর্শন করেন সরেজমিন।
এখানে দীর্ঘ সময় কাটান তারা। এর পর তারা কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ি খালের আরেক ভয়াবহ ভাংগন স্পট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। যা দ্রুত উন্নয়নের আশ্বাস দেন এ দু কর্মকর্তা।
এ সময় রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম বলেন,বানবাসী মানুষের দূ:খ দূর্দশার শেষ নেই। অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক ও সংযোগ সড়ক গুলো প্রাকৃতিক দূর্যোগে বার বার ক্ষতি হয়। সরকার বার বার এ সবের সংস্কার করে আসছে। বিশেষ করে বৃহত্তর গর্জনিয়ার মানুষের অতি আপন বাকখালী ব্রীজ রক্ষায় রামু উপজেলার পক্ষ থেকে সব কিছু করা হচ্ছে আন্তরিকভাবে। কোন ধরনের কার্পণ্যতা দেখানো হচ্ছে না এখানে।
এ ছাড়া ককসবাজারের গনমানুষের প্রিয় নেতা এমপি কমল সাহেব এলাকার সকল উন্নয়ন এবং সংস্কার কাজ,বাকঁখালীর ব্রীজ ও ঐতিহাসিক শাহসূজা সড়কটি রক্ষার জন্যে উদার হস্তে বিলিয়ে দিচ্ছেন সব কিছু।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, কচ্ছপিয়ার দেীছড়ি খালের ভাংগন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও কে,জি স্কুলের সামনের ক্ষত-বিক্ষত সড়ক সহ সব বিষয়ে দ্রত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে অতি কম সময়ের মধ্যে। কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান আবু মো:ঈসমাঈল নোমানকে ইংগিত করে তিনি আরো বলেন,বিগত সময়ে দূর্যোগকালেও মানুষ অনিরাপদ ছিল। এখন মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে-নিরাপদ। টাকা পয়সা নিয়ে নির্বিগ্নে চলাফেরা করছে বাজারে রাস্তা ঘাটে। এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কচ্ছপিয়া –গর্জনিয়া এখন আগের অবস্থানে নেই। অনেক উন্নত।
এ সময় তাদের সাথে আরো ছিলেন, ককসবাজারের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী,রামু উপজেলা প্রকৌশলী, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাইল নোমান,গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম,কচ্ছপিয়ার প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার,কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ ইউপি মেম্বার, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম,গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুব লীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ,কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এম সেলিম,ছাত্র লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, কচ্ছপিয়া যুবরীগের দায়িত্বশীল নেতা নুরুল আবছার,জহির,আবদু শুক্কুর,মো: ফরিদ,জসিম,মন্জুর,বাপ্পি,ফয়েজ,ছালামত,য়োরকান,মান্নান ও আসিছ সহ ইউনিয়নের শতশত সূধি ও নের্তৃবৃন্দ। এভাবে তারা বার বারএলাকা পরিদর্শনে আসায় এলাকার মানুষ খুশি-কৃতজ্ঞ ।
Posted ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy