দর্পণ বড়ুয়া,রামু :: বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব শুক্রবার ১৬ অক্টোবর দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, চীবর বুনন, বুদ্ধ পালা কীর্তন, শুক্রবার সকালে ধর্মসভা, চীবর নিয়ে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর গ্রাম প্রদক্ষিণ শেষে ভিক্ষুসংঘকে দানের মাধ্যমে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
ধর্মসভায় বক্তারা বলেন, বুদ্ধের অহিংস নীতি অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি ও সুখ বিরাজ করবে।ছেলে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদান, পারিবারিক সচেতনতা, শিশুদের প্রতি বড়দের স্নেহশীল আচরন কঠোর দায়িত্বশীলতা, সামাজিক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।
ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ বৌদ্ধভিক্ষু উঃ আছবা মহাথের। এতে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন ভারতীয় উপসংঘরাজ ভদন্ত ধর্মরত্ন মহাথের। সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট লেখক,গবেষক ভিক্ষু প্রজ্ঞানন্দ, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি রামু থানার নবাগত ওসি এম কে আজমিরুজ্জমান, ভিক্ষু শিলপ্রিয় থের, ভিক্ষু জ্যোতিসেন থের,বিহার কমিটির সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ রাজু বড়ুয়া, বৌদ্ধ নেতা তরুণ বড়ুয়া,পলক বড়ুয়া আপ্পু, লিটন বড়ুয়া মেম্বার প্রমুখ।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরার কাপড়) উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের সাধু, সাধু ধ্বনির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান এবং পরে তা সব প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনায় উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠানে চীবর দানের পাশাপাশি পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিষ্কারদানসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়।
উল্লেখ্য যে,কঠিন চীবর দান -বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধর্মীয় আচার ও উৎসব যা সাধারণত বাংলা চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী প্রবারণা পূর্ণিমা (ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা) পালনের এক মাসের মধ্যে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রি-চীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ পূণ্যের আশায় প্রতি বছর প্রতিটি বিহারে এভাবে চীবরসহ ভিক্ষুদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীও দান করে থাকেন।
Posted ১০:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy