শহিদুল ইসলাম,উখিয়া(১৪ নভেম্বর) :: ককসবাজারের উখিয়া -টেকনাফের বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পে অাশ্রয় নেওয়া কিছু সংখ্যাক রোহিঙ্গা নিতে মিয়ানমার সরকার প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৫০জন রোহিঙ্গা মিয়ানমার যাবে বলে জানিয়েছেন শরনাথী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপের সদস্য অাবুল কালাম।
এ উপলক্ষে বুধবার বিকালে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় বৈঠক করেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,‘আমরা রোহিঙ্গাদের ঘুমধুমের ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাব। সেখান থেকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে চলবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার নুরুল আলম নিজামীসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে অাশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা সহ পুরো বিশ্বের দৃষ্টি এখন প্রত্যাবাসনের দিকে। দীর্ঘ চৌদ্দ মাস উখিয়া -টেকনাফে অাশ্রয় নিয়ে ছিল এসব রোহিঙ্গারা। তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে অধীর অাগ্রহে অপেক্ষায় অাছে। কখন ফিরে যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছে স্মারকটিতে স্বাক্ষর করেছিল। সেই স্মারকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ামারের কাছে ৮ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠায়। যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ওই তালিকা থেকে ৫ হাজার ৫শ জনকে প্রত্যাবাসনের ছাড়পত্র দেয়। সেই ছাড়পত্রের মধ্য থেকে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
Posted ২:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy