কক্সবাংলা ডটকম(২৮ জুন) :: চীন ও ভারতের মধ্যে বড় ধরনের প্রথাগত সম্মুখ লড়াই হয়েছিল একবারই, ১৯৬২ সালে। কিন্তু ঐ যুদ্ধের পর বিগত দশকগুলোতে এশিয়ার এই দুটি দেশ বিপুল সমরাস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলেছে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে বৈরিতাও বাড়ছে। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সেনা হতাহতের ঘটনায় সেই বৈরিতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগে বহির্বিশ্বের নজর পড়েছে লাদাখে। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি চীনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়ার ভূমিকা এখন পর্যন্ত রহস্যজনক। ব্রিটেন উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি
দুই পক্ষই বলছেন যে অন্য পক্ষের সেনাবাহিনী তাদের আগের অবস্থান থেকে সামনে এগিয়ে এসে ভূমি দখল করেছেন এবং সেকারণেই হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রাখছে। কারা যে কোন এলাকায় ঢুকেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে দুই পক্ষই তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ছেড়ে দিতে একেবারেই রাজি নয় এবং প্রয়োজনবোধে তারা হাতাহাতি করবেন। সেটা তারা করেছেন। তবে গোলাগুলি হয়েছে এমনটা শোনা যায়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট (পিপি)-১৪ কে ঘিরে প্রাণ হারিয়েছিল ভারতের ২০ জন সেনা, তার কাছে ফের ভারতের এলাকা দখল করে বসে পড়েছে চীনের সেনাবাহিনী।
এরই মধ্যে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, লাদাখের স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টার ফল ভুগতে হতে পারে চীনকে। আবার বেইজিং বলেছে, সীমান্ত পরিস্থিতি খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়াটা ভারতের জন্য উচিত হবে না।
দুই দেশ সেনা সরানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হলেও সেনা সরানোর কোনো দৃশ্য গতকাল পর্যন্ত দেখা যায়নি। বরং লাদাখের আকাশে যুদ্ধবিমান উড়ছে। দুই দেশই সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত করছে। স্যাটেলাইটে ভারতের জায়গায় চীনের অবকাঠামো নির্মাণের দৃশ্য ধরা পড়েছে। আবার ভারতও লাদাখে রাস্তা নির্মাণ করছে। এ নিয়ে লে শহরের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। যদিও লে শহরের বাসিন্দারা শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
কেবলই সীমান্ত বিরোধ!
সেনবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী যা কিছু করে, তার পেছনে একটা রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থাকে। বর্তমানে ভারত এবং চীনের মধ্যে যে সম্পর্ক, সেটা বিশ্বজনীন প্রেক্ষাপটে বেশ বৈরী। বিশ্ব রাজনীতিতে এই দু্?ই দেশের অবস্থান দুই প্রতিদ্বন্দ্বি শিবিরে। আন্তর্জাতিকভাবে চীনের সেই অর্থে কোনো মিত্র নেই। তাদের একটি মিত্রদেশ পাকিস্তান। ১৯৯৯-২০০০ সাল হতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সামরিক সহযোগিতা গত দুই দশকে অনেক দৃঢ় হয়েছে। ভারত বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি সামরিক জোটে অংশগ্রহণ করেছে।
অন্যদিকে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গত কয়েক বছরে বেশ বৈরী, ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতাকে তাই তারা মোটেই পছন্দ করছে না। চীন এবং ভারতের মধ্যে বৈরিতার এরকম একটা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে। সেই আলোকে দেখতে গেলে এই সীমান্ত বিরোধ তাদের মধ্যকার শত্রুতার একটি প্রকাশ মাত্র।
বিশ্ব শক্তি : কে কার পক্ষে
ভারতের মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই চীনের বিরোধিতায় নেমেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকবার মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিলেও চীন ও ভারত দুই দেশই প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু তার পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনকে মোকাবিলায় দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এশিয়ার দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ মিত্র দেশগুলোকে রক্ষায় এবং চীনের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের ইঙ্গিতেই করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য ইউরোপ থেকে সেনা সরিয়ে আনা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাশিয়া, ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের একটি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। ঐ সম্মেলন শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা করার প্রয়োজন নেই। গতকাল ভারতের মিডিয়া ইন্ডিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ভারত-চীন দুই পক্ষকে নিয়ে বসার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায় রাশিয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া কাকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় গোটা বিশ্ব। এমনকি রাশিয়া নিজেও ধন্দে রয়েছে। কারণ, ভারত তার পুরোনো বন্ধু। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক এখন ভালো। তাই রাশিয়া পুরোনো মিত্র নাকি নতুন মিত্রের পাশে দাঁড়াবে তা ঠিক করে উঠতে পারেনি।
ভারতের পাশে আমেরিকা দাঁড়ালে পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া দাঁড়াবে চীনের পেছনে। ভারত-চীন যুদ্ধ যদি শেষ পর্যন্ত বাধেই সে ক্ষেত্রে শুধু আমেরিকা নয়, জাপান, অস্ট্রেলিয়াও ভারতের পক্ষ নেবে। দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলো এখনো চুপ। কেবল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত ও চীনকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবেশী দেশকে কাছে টানছে চীন!
গত ২০ জুন আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়ানোর পরে ফের নতুন উদ্যমে প্রতিবেশি দেশগুলোকে কাছে টানছে বেইজিং। বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া অতিরিক্ত ৫ হাজার ১৬১টি পণ্যে শুল্ক না নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিবেশী দেশ, নানা টানাপোড়েন সত্ত্বেও যাদের সঙ্গে ভারতের একটা পরীক্ষিত সুসম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ থেকে উত্তরে নেপাল-ভুটান, কারো সঙ্গেই আর আগের উষ্ণ সম্পর্ক নেই ভারতের। কূটনীতিকরা বলছেন, এই পরিস্থিতির পেছনে চীনের হাত স্পষ্ট। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে একঘরে করে ফেলার কৌশল বাস্তবায়িত করছে বেইজিং।
লাদাখে সক্রিয় হল ৩টি বিমানঘাঁটি, মোতায়েন ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান
রণংদেহী পরিস্থিতি লাদাখে। চিনকে সবক শেখাতে পূর্ব লাদাখ সীমানায় পাঠানো হল বোমারু বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। পাহাড় জুড়ে রীতিমতো সমরসজ্জার আয়োজন। ৪৫ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে পূর্ব লাদাখে। চিন কোনওরকম আগ্রাসন দেখালেই পাল্টা দেওয়ার ঘুঁটি সাজানো চলছে। এরা পাশাপাশি বার্তাও যাচ্ছে বেজিংয়ে। কোনওরকম বেয়াদপি বরদাস্ত করা হবে না।
চিনের বেয়াদপি আর বরদাস্ত নয়। সূত্রের খবর গত কয়েকদিন দৌলতবেগ ওল্ডি সহ বেশ কিছু সীমান্ত এলাকার পাশ দিয়ে চপার উড়িয়ছে চিন । সীমান্তের কাছে নিয়ে এসেছে বোমারু বিমান। পাল্টা চাল দিল নয়া দিল্লিও। পূর্ব লাদাখে পাঠানো হল ক্ষেপণাস্ত্র। ভূমি থেকে আকাশে দ্রুত লক্ষ্যভেদে সক্ষম ‘আকাশ’-সহ ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভার পৌঁছল। ভারতে তৈরি হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে ছোড়ার ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’।নিমেষে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করে দিতে জুড়ি নেই আকাশের। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে ও ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা শত্রুর হাতিয়ারেরও নিস্তার নেই।
ফলে বোমারু বিমান ওড়ানোর আগে এবার দুবার ভাবতে হবে চিনকে। এখানেই শেষ নয় ভারতের আকাশ পাহারা লাদাখে রয়েছে এয়ার সার্ভেল্যান্স রাডার ও যুদ্ধ বিমান। দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ ৩ টি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করেছে ভারত।
সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যে অত্যাধুনিক এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম আসছে ভারতের হাতে। সেই ব্যবস্থাও কাজে লাগানো হবে চিনকে রুখতে
গত এক মাসে পরপর সেনা কনভয় পৌছেছে লাদাখে। এখন দেশের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রেরও সমাবেশ করছে ভারত। C-17 গ্লোবমাস্টারে চাপিয়ে চণ্ডীগড় থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে T– 90 ট্যাঙ্ক ।
একবারের পরিবহণ খরচই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। উত্তর ভারতের প্রায় সব ক্যান্টনমেন্ট, বিমান ঘাঁটি থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র পাঠানো হচ্ছে লাদাখে আধুনিক বন্দুক, কামান পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ৪৫ হাজার সেনার সমাবেশ করা হচ্ছে লাদাখে। চিন সীমান্তের ১৫৯৭ কিমি জুড়ে ৬৫ টি পয়েন্টে জোরদার হয়েছে নজরদারি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিনের সঙ্গে এই দ্বৈরথ আরও কিছু দিন দীর্ঘ হবে। ৩ মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে তুষারপাত। গোটা দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে লাদাখ। সেই দীর্ঘ কঠিন সময়ের জন্যও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সেনা।
ভুগতে হবে চিনকেই
পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসন নীতির ফল ভুগতে হবে চিনকেই। খুব ভুল সময়ে লাদাখে ভারতীয় সেনার ওপরে হামলা চালিয়েছে চিন। গোটা বিশ্বের কাছে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। গোটা বিশ্বই ক্ষুব্ধ চিনের ওপর। এমনই মত রণকৌশল বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার এই বিশেষজ্ঞরা জানান, পূর্ব লাদাখে কি হয়েছে, বিশ্বের সব দেশই তা জানে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে বিশেষত সীমান্ত নিয়ে কার্যকলাপের ক্ষেত্রে চিনের দাদাগিরি কেউই বরদাস্ত করবে না। বেজিংয়ের যুদ্ধবাজ চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে।
এই বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও বালো সম্পর্ক নেই চিনের। হংকংয়ের স্বাধীকার নিয়ে মার্কিনী চাপে বেশ সমস্যায় চিন। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতেও প্রায় একঘরে বেজিং। প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিংয়ের মতে চিন নিজেই নিজের শত্রু হয়ে উঠেছে। এরওপর লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসন বুমেরাং তৈরি করবে চিনের সামনে।
জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে দক্ষিণ চিন সাগরে নজরদারি। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে খবরদারির চেষ্টা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সাইবার হানা। সবকিছুতেই নিশানায় থাকছে চিনের বাড়াবাড়ির ছাপ। এর আগে,অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান সাইবার হামলার শিকার হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি বেসরকারিক্ষেত্রেও সুরক্ষা লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ।
সাইবার হানার প্রেক্ষিতে ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী চিনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন তাঁর দেশ সব ধরণের হামলার জবাব দিতে তৈরি। কোনও বহিরাগত উস্কানি তাঁরা সহ্য করবেন না। গত সপ্তাহেই ভিয়েতানামের বিদেশমন্ত্রক অভিযোগ করেছিল সেদেশের মৎস্যজীবীদের নৌকায় হামলা চালায় চিনা নৌবাহিনীর জাহাজ। দক্ষিণ চিন সাগরে এই ঘটনা ঘটে। পার্সেল আইল্যান্ডের কাছে এই হামলার শিকার হয় ভিয়েতনামের মৎস্যজীবীদের নৌকা।
উল্লেখ্য এই দ্বীপকে চিন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। এপ্রিল মাসেও একই অভিযোগ করেছিল ভিয়েতনাম। জাপানও চিনা উস্কানির অভিযোগ আনে। টোকিও জানায়, চিন ৬৬ দিন ধরে সেনকুকু দ্বীপপুঞ্জের সামনে নিজেদের নৌবাহিনী মোতায়েন রাখে। পূর্ব চিন সাগরের ওপর এই দ্বীপ জাপানের এক্তিয়ারভুক্ত।
একই অভিযোগ আনে ইন্দোনেশিয়াও। চিন জলসীমা নিয়ে ক্রমাগত উত্যক্ত করছে বলে অভিযোগ সেদেশের। এদিকে, শুধু গালওয়ান বা প্যাংগং নয়, দৌলত বেগ ওলডি বা ডিবিও ও ডেপসাং সেক্টরেও চিনা সেনার গতিবিধি নজরে এসেছে উপগ্রহ চিত্রে।
জুন মাসেই এই এলাকায় চিনের বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি গাড়িও নজরে এসেছে। ডেপসাং সেক্টরে চিনা সেনার আনাগোনা হতে পারে মে মাসেই এই খবর পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানে নজরদারিও চলছিল। উল্লেখ্য ২০১৩ সালে প্রথম এই সেক্টরে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঘটে।
Posted ৪:২২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy