কক্সবাংলা ডটকম(১৯ সেপ্টেম্বর) :: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসর ৬৫ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।
প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চাকরি ও অবসরের বয়সের বিষয়টি নির্ধারণের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
বিএএসএ মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জনপ্রশাসনে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্তপত্র সঙ্গে পাঠানো হলো।
বর্ণিত বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু এ-সংক্রান্ত যে প্রস্তাব জমা পড়েছিল, সেটিই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সাধারণত সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। আর অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৫৯ বছর।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের জন্য কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত সপ্তাহেও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।
একজন চাকরিপ্রার্থী তখন বলেছেন, ‘আমরা ১৪ বছর ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি; কিন্তু আজও তার সমাধান পাইনি।’
বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি চেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এ বছরের ৩ জুলাই সংসদে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।
ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।
Posted ২:২১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta