কক্সবাংলা ডটকম(২ অক্টোবর) :: দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় শকিশালী সামরিক বাহিনীর অধিকারী বাংলাদেশ। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার-২০১৯ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের এই অবস্থান।
র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম স্থানে। মাত্র এক বছরে দেশটি ৫৬তম স্থান থেকে ১১ ধাপ এগিয়ে গেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী এবং এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের অবস্থান ৪র্থ, পাকিস্তান ১৫তম, আফগানিস্তান ৭৪তম, শ্রীলংকা ৯০তম, নেপাল ১২০তম। তালিকার শেষ দেশটি হলো ভুটান – ১৩৭তম। মালদ্বীপের সামরিক শক্তি তালিকায় স্থান পায়নি।
তবে র্যাংকিং অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার এগিয়ে – ৩৭তম।
এই শক্তির জরিপে কোনও দেশের পরমাণু শক্তির বিষয়টি ধর্তব্যে নেয়া হয়নি। তবে স্বীকৃত ও সন্দেহভাজন পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
কেবল একটি দেশের সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা দিয়ে এই শক্তিমত্তার বিষয়টি নির্ণয় করা হয়নি। বরং দেশটির সামরিক সরঞ্জাম কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেটিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বিভিন্ন দেশের সামরিক খাতের তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা করে প্রতি বছর এমন একটি তালিকা প্রকাশ করে; যেখানে সামরিক শক্তির দিক থেকে শক্তিশালী দেশগুলোকে ক্রমানুযায়ী সাজানো হয়।
এক নজরে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি
সূচকে প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করে একটি দেশের স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ জয়ের ক্ষমতা বিবেচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জনবল ১৬০,০০০।
আলাদাভাবে বিমানশক্তির বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম এবং হেলিকপ্টার শক্তিতে ৫৪তম।
স্থলবাহিনীর শক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৩৪০টি যুদ্ধট্যাংক, ৫২১টি আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকেল, ১৮টি সেল্ফ প্রোপেলড আর্টিলারি, ৩৪০টি ডোওড আর্টিলারি, ৩৬টি রকেট প্রজেক্টর রয়েছে।
বাংলাদেশের মোট নৌ সম্পদের সংখ্যা ৮৯। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি করে ফ্রিগেট ও কর্ভেট, ২টি সাবমেরিন, ২৬টি পেট্রোল ভেসেল ও চারটি মাইন ওয়্যারফেয়ার ভেসেল।
যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে শক্তিশালী
সামরিক শক্তি তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই আছে চীন ও রাশিয়া।
শীর্ষ আট দেশের মধ্যে আরো রয়েছে যথাক্রমে ভারত, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্য।
Posted ৫:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy