কক্সবাংলা ডটকম(৫ নভেম্বর) :: সুনামি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সুনামির উৎপত্তি মূলত ভূমিকম্প থেকে। যদি সমুদ্রপৃষ্ঠে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয় তবেই সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের পর সাধারণত সুনামি হয় এবং সমুদ্রের তলদেশের টেকটোনিক প্লেট উল্লম্বভাবে সরে যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ সুলাওয়েসিতে রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ ভূমিকম্পের তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
তবে আতঙ্ক ও বিপদ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল এই ভূকম্পনের ফলে সুনামির ধেয়ে আসা। সুনামির ফলে ৬ মিটার উঁচু ঢেউ ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে সুলাওয়েসির শহর পালুতে।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৫ নভেম্বরকে বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। দিবসটি পালনের পরিকল্পনা আসে জাপান থেকে।
বাংলাদেশও সুনামির আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাদের মতে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্র সীমায় অতীতে সুনামির ঘটনা ঘটেছে৷ আর ওই সমুদ্রগর্ভে আবারো ভূমিকম্প হলে বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
জাপানে আসা সুনামির ধ্বংসলীলা
বাংলাদেশে-মিয়ানমার সমুদ্র সীমায় সাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হয়েছিল ১৭৬২ সালে৷ তাতে এই জনপদে সুনামি আঘাত হেনেছিল৷ সেই ফাটল এখনো সক্রিয় এবং ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বাড়ছে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং সুনামি বিশেষজ্ঞ ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, সুনামি হলে বাংলাদেশে সব দ্বীপ ডুবে যাবে৷ ভোলা, সুন্দরবন, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, টেকনাফসহ উপকুলীয় এলাকায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হবে৷
ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকার বাঁধ কোনভাবেই সুনামির প্রভাবে পানির তীব্র স্রোত মোকাবিলায় সক্ষম নয়৷ ফলে বাঁধ ভেঙ্গে যাবে৷ আর বাঁধের উচ্চতাও কম৷ যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে৷
তিনি বলেন, সুনামির আগাম পূর্বাভাষ সম্ভব নয়৷ কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া থাকলে ক্ষয়-ক্ষতি কমানো সম্ভব৷ তাই বাধ ও আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবো সুনামির আশঙ্কাকে মাথায় রেখে৷
Posted ৬:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta