কক্সবাংলা ডটকম(২৯ জুলাই) :: সুশান্তকে রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করতেন রিয়া চক্রবর্তী। একপ্রকার বাধ্য হয়েই রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুশান্ত। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক তথ্য সুশান্তের পরিবারের কাছে তুলে ধরে তার আরেক বান্ধবী। যিনি নিজেও একজন অভিনেত্রী। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও সুশান্তের ওই অভিনেত্রী বান্ধবী নিজের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি। পিপিংমুন- এর প্রতিবেদন সূত্রে সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
পিপিংমুন-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, সুশান্তের ওই অভিনেত্রী বান্ধবী সম্প্রতি দুবার পাটনায় গিয়ে অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের হাতে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ তুলে দিয়েছেন তিনি। সুশান্তের সঙ্গে হওয়া হোয়াটসআপ চ্যাটও অভিনেতার পরিবারকে দেখিয়েছেন ওই অভিনেত্রী। একপ্রকার অসহায় হয়েই সুশান্ত তাকে হোয়াটসআপে এত কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অভিনেত্রী। তার দাবি, শুধু রিয়াই নয়, তার বাবা, মা ও ভাই একপ্রকার সুশান্তকে নিজেদের জালে জড়িয়ে দিয়েছিল ও তাকে বদ্ধ করে ফেলেছিল।
এখানেই শেষ নয়, সুশান্তের বাড়িটি একপ্রকার রিয়ার পরিবার দখলই করে ফেলেছিল। দীর্ঘ সময় রিয়ার মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী এসে সেখানে থাকতে শুরু করে দেন। রিয়ার মায়ের উপস্থিতিতে সুশান্তের একপ্রকার দমবন্ধ হয়ে উঠেছিল। রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন সুশান্ত, তবে একথা তিনি জানালেই তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হত। সংবাদমাধ্যমের সামনে সুশান্তকে অপদস্ত করার ভয় দেখানোও হত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুশান্তের ওই বান্ধবী আরও জানিয়েছেন, সুশান্তের ফোন পুরোপুরি রিয়ার হেফাজতে ছিল। তাই আমার সঙ্গে কথা বলার পর সুশান্ত চ্যাট ডিলিট করে দিত। এমনকি আমার নম্বর, ডিটেলস রিয়ার থেকে লুকিয়ে রাখত সুশান্ত। ওর ক্রেডিট কার্ড রিয়াই ব্যবহার করত, এমনকি সেটা দিয়ে ৪ লাখ রুপি মূল্যের তিনটা ফোন কিনেছিল ও, যার মধ্যে দুইটা ফোন রিয়া ফ্ল্যাট ছেড়ে যাওয়ার সময় নিয়ে যায়।
সুশান্তের অভিনেত্রী বন্ধু জানান, সুশান্ত আমায় জানিয়েছিল, ওর আর কোনওকিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই, সবকিছুই রিয়ার হেফজতে। এমনকি বাড়ির পরিচারক, পরিচারিকা থেকে শুরু করে সবকিছুই। রিয়ার মা তার বাড়ির সমস্ত পরিচারকদের রাতারাতি বদলে দিয়েছেন। তিনি কিছু বলতে গেলেই রিয়ার মা একপ্রকার তাকে চুপ করিয়ে দিতেন, বলতেন, রিয়াই সবকিছু ঠিক করবে।
পিপিং মুন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সুশন্তের পুরনো দুই কর্মীকে নিয়েই ওই অভিনেত্রী বন্ধু পাটনায় গিয়েছিলেন। তারা সুশান্তের বাবা ও অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, সুশান্তের অ্যাকাউন্টের তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, বিশাল পরিমান টাকা সরানো হয়েছে। তার কথায়,সুশন্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়া ১৫ কোটি রুপি সরিয়েছেন। এমনকি, সুশান্তের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডও রিয়া ব্যবহার করে অর্থ ব্যবহার করতেন। সুশান্তকে রিয়া তার পছন্দমত একটি গাড়ি কিনতে বাধ্য করেছিলেন, পরে তার হারিয়ে যাওয়া সেই গাড়ি ব্যবহার করছিলেন রিয়ার ভাই সৌমিক।
জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর দেওয়া সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেন সুশান্তের দুলাভাই আইপিএস অফিসার ও পি সিং। তিনিই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টা জানান। এরপরই সুশান্তের বাবার এফআইআর গ্রহণ করে বিহার পুলিশ।
শান্ত সিং রাজপুতের বাবা এফআইআর দায়ের করার পরপরই রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিহার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বিহার পুলিশের একটি দল মুম্বাইতে রওনা দিয়েছে।
ব্য়ান্দ্রা ডিসিপির সঙ্গে কথা বলেই এরপর শুরু হবে তদন্ত। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিং এফআইআর দায়ের করার পরই বিহার পুলিশের চারজনের একটি দল মুম্বাইতে রওনা দেয়।
Posted ২:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy