কক্সবাংলা ডটকম(১৭ নভেম্বর) :: চোখের পলকে আঘাত হানবে এই হাইপারসনিক মিসাইল! প্রতিবেশী দেশের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল ভারত।
হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতও এক বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে শুধুমাত্র আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়ার কাছে হাইপারসনিক মিসাইল ছিল, কিন্তু এখন ভারতও এই তালিকায় যোগ দিয়েছে।
এই হাইপারসনিক মিসাইলটিকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত পরিষেবার জন্য 1500 কিলোমিটারেরও বেশি রেঞ্জে একাধিক পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) শনিবার (১৬ নভেম্বর) ওডিশা উপকূলে ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে একটি দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই কৃতিত্বে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পাশাপাশি এটি ভারতের এক বড় অর্জন বলেও উল্লেখ করেছেন। রাজনাথ সিং দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষাকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ডিআরডিও এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে, রাজনাথ সিং, রবিবার (১৭ নভেম্বর) টুইটারে একটি পোস্টে বলেছেন, “ভারত দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ।” নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে এটি একটি বড় অর্জন।এই সাফল্য আমাদের দেশকে সামরিক খাতে এক বিরাট মাইলফলক অর্জনে সাহায্য করেছে”।
বর্তমানে বিশ্বে শুধুমাত্র আমেরিকা, চিন, ভারত ও রাশিয়ার কাছে এই হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে।
হাইপারসনিক মিসাইল বায়ুমণ্ডলে শব্দের গতির ৫ গুণেরও বেশি গতিতে (ঘণ্টায় ৬১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি) গতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম।
যার কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে সহজে গুলি করা যায় না, শত্রুর লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে রীতিমত ওস্তাদ। অনেক দেশই এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা চালাছে।
বর্তমানে শুধুমাত্র আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনে মতো দেশের কাছেই হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে।
উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে বলেও দাবি করেছে, তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি। এখন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করে ভারত তার সামর্থ্য ও শক্তি দেখিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভান্ডারে কয়েক দিনের মধ্যেই শোভা পাবে নতুন দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি।
এদিকে কিছুদিন আগে এক প্রদর্শনীতে নিজেদের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো সামনে এনেছিল চীন। গোপনে হামলা চালাতে সক্ষম জে–৩৫এ যুদ্ধবিমান এবং হামলার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সেখানে প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সামনে আনা হয় এইচকিউ–১৯ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসনিক আকাশযান ধ্বংস করতে এইচকিউ–১৯–এর নকশা করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াড জোটেও রয়েছে দেশটি। এ ছাড়া রাশিয়ার অস্ত্রের বড় ক্রেতা ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি থাকার পরও রাশিয়া থেকে কয়েক শ কোটি ডলারের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে তারা।
Posted ৩:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta