কক্সবাংলা ডটকম(৬ মার্চ) :: ট্রাম্পের নতুন নীতিতে প্রবল চাপে আমেরিকায় সদ্য ২১ পেরোতে চলা লক্ষ লক্ষ অভিবাসী। বাবা-মা এইচ ওয়ান বি (H1-B) ভিসায় আমেরিকা গিয়েছিলেন।
তখন তাঁদের সঙ্গে এইচ ফোর (H4) ভিসার অধীনে আমেরিকায় গিয়েছিলেন তাঁদের নাবালক সন্তানেরা।
আমেরিকার অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী, ওই নাবালকদের মধ্যে যাঁদের ২১ বছর হয়ে যাচ্ছে তাঁরা আর এইচ ওয়ান বি ভিসা থাকা বাব-মায়ের উপর নির্ভরশীল হিসেবে গণ্য হবেন না।
কিন্তু সে ক্ষেত্রে নতুন ভিসা পাওয়ার জন্য ২ বছরের একটা সময়সীমা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের আমলে নতুন নিয়মে সেই সুযোগ আর থাকছে না। এর ফলে ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আমেরিকায় কার্যত বহিরাগত হয়ে যাবে ২১ পেরনো ওই তরুণ-তরুণীরা। এর ফলে তাঁদের জোর করে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের মার্চের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় এই মুহূর্তে ১.৩৫ লক্ষ এমন ভারতীয় রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পরিবার গ্রিন কার্ড পাওয়ার আগেই ডিপেনডেন্ট ভিসার যোগ্যতা হারাবেন।
DACA- নামের একটি আইনের মাধ্যমে এতদিন নথিহীন অভিবাসী, ডিপেনডেন্ট ভিসা ফুরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা ২ বছরের একটি সুবিধা পেতেন। কিন্তু মামলার কারণে DACA-এর অধীনে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আতান্তরে পড়েছেন বা পড়তে চলেছেন অনেকে।
এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা একেবারে ছোটবেলা থেকে আমেরিকায় বড় হয়ে উঠেছেন। তাঁদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যতের সবটাই জড়িয়ে রয়েছে আমেরিকায়।
তাঁদের এখন সে দেশ ছাড়তে হলে ভবিষ্যত নিয়ে ভয়াবহ সমস্যায় পড়তে হবে বলেই মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ক্যানাডা বা ব্রিটেনে নাগরিকত্ব নিতে বা অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
আমেরিকায় গ্রিন কার্ডের ক্ষেত্রেও বিস্তর জটিলতা রয়েছে। একে তো ডোনাল্ড ট্রাম্প টাকার বিনিময়ে গোল্ড কার্ড বেচার প্রস্তাব এনেছেন। অন্যদিকে গ্রিন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও দীর্ঘ অপেক্ষা রয়েছে।
কোথাও ১২ বছর, কোথাও ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে গ্রিন কার্ড পেতে, এই অবস্থায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় ডিপেন্ডডেন্ট ভিসার যোগ্যতা হারাতে বসা বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ও ভারতীয়।
Posted ১:৫২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta