কক্সবাংলা ডটকম(৫ এপ্রিল) :: অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছরের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্তের পর কারাদন্ড হল সালমান খানের। যোধপুর কোর্টে আজ দুপুর দুটো নাগাদ রায় দেয়। রায়ে জানানো হয়েছে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অপরদিকে এই একই মামলায় সইফ আলি খান,সোনালি বিন্দ্রে,টাব্বু,নিলাম এরা চারজনে বেকসুর খালাস হয়েছেন ইতিমধ্যেই। যোধপুর আদালতের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেবকুমার খাতরি বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
কিন্তু জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবিরা। আগামীকাল সেই শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু এদিন রাতটা জেলেই কাটাতে হবে সলমানকে ।
যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে তাকে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই রাত কাটাতে হবে তাকে। শুক্রবার সকালে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন সালমান।
সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে দুটি বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করেছেন। সালমানসহ উল্লেখিত অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেখানে একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিলেন।
৫২ বছর বয়সী সালমান আগেই এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে। প্রায় বিশ বছর বয়সী পুরনো এই মামলার আদেশ দিয়েছেন যোধপুরের ডিসট্রিক্ট প্রিজাইডিং অফিসার দেবকুমার খাত্রী। হরিণ শিকারে সালমান খানকে ‘অভ্যস্ত আক্রমণকারী’ আখ্যা দেওয়া হয় আদালতের রায়ে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যান্য আসামি বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবু। বেনিফিট অব ডাউট-এর বিবেচনায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত। এ মামলায় আরও দুজন অভিযুক্ত ছিলেন—ট্রাভেল এজেন্ট দশায়ন্ত সিং ও সালমানের সহকারী দিনেশ গাউরে। গাউরে অবশ্য এখনও পলাতক।
নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রায় এক সপ্তাহ জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর বলিউড সুপারস্টারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে বেকসুর খালাস দেন।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সালমান খানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলি মৃত প্রাণির শরীরে পাওয়া যায়নি, তাই সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর এজন্যই সালমানকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিয়ে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
রায়ের বিপরীতে রাজস্থান সরকার সালমানের দণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপিল করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সালমানের নতুন সাজা ঘোষিত হলো।
Posted ৪:২৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta