মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আমদানি নির্ভর খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে অসহনীয় মাত্রায়

শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
290 ভিউ
আমদানি নির্ভর খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে অসহনীয় মাত্রায়

কক্সবাংলা ডটকম :: আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সরকারি হিসাবেই গত এক বছরে অন্তত ৩০টি পণ্যের দাম বেড়েছে।

এর মধ্যে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি পণ্য পুরোপুরিই আমদানি নির্ভর। অন্যান্য পণ্য আমদানি যেমন করা হয়, তেমনি দেশেও উৎপাদিত হয়।

আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে দেশে উৎপাদন হয় এমন পণ্যের দামও বেড়েছে।

এর মধ্যে কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়েছে এমন পণ্য আছে, আবার কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে এমনও আছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে খরচ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘরে।

অবশ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগ ছিল। এ কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট বাড়লেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিপর্যয়ে পড়েনি।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতর কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।

এদিকে দেখা যাচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে অসহনীয় মাত্রায়। আবার কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে সহনীয় মাত্রায়।

সাধারণত, দেশে বেশি আমদানি হয় গম, সরিষা, মসুর ডাল, মটরের ডাল ও তিসি দানা। কিন্তু খাদ্য সংকট মোকাবিলায় চাল থেকে শুরু করে সব পণ্য এখন আমদানি করতে হচ্ছে।

কোনও কোনও পণ্য ৮০-৯০ শতাংশ, কোনও পণ্য ৫-১০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কিন্তু তথ্য বলছে, দু-একটি ছাড়া দেশের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা কখনও যুদ্ধকে উপলক্ষ করে কখনও রমজান উপলক্ষে করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। কিছু পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আমদানি পণ্যে বাজার অস্থির

ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, বাস্তব কিছু কারণেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— করোনার কারণে অনেক পণ্যেরই উৎপাদন কমে গেছে। দ্বিতীয় কারণ, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে জাহাজ ভাড়া বেড়ে গেছে। যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অনারারি ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ছে।

তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেট, মধ্যস্থতাকারী, নৈরাজ্য, স্টক ও প্রবাহের মধ্যে পার্থক্য, মজুতদারিসহ নানান সমস্যা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনা এবং তদারকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজার ব্যবস্থাপনা এবং তদারকিতে দুর্বলতা থাকলে অসৎ ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেন।

পণ্যের দাম বিশ্লেষণ করে দেখেছে মাত্র তিনটি পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ টাকার মতো। পণ্য তিনটি হলো সরু বা চিকন চাল, ডিম ও লবণ। এই তিনটি দেশেই উৎপাদিত হয়। দাম বৃদ্ধির দিক থেকে এগুলো ভোক্তাদের কম ভুগিয়েছে।

এক বছরে কেজিতে ৫ টাকা

বাজারে গত এক বছর ধরে চিকন চালের দাম রয়েছে ৭০ টাকা কেজি। অর্থাৎ সারাবছর জুড়েই ৭০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের এই চাল  কিনতে হয়েছে। এই চাল দেশের কৃষকরা উৎপাদন করেন, তবে সংকট এড়াতে প্রচুর চাল আমদানিও হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি মাসের ‘খাদ্যশস্য: বিশ্ববাজার ও বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০-২০২১ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাণিজ্য বছর হিসাব করা হয় প্রতিবেদন প্রকাশের আগের ১২ মাস ধরে। অবশ্য গত বছরে এর চেয়েও বেশি চাল আমদানি হয়েছে। যদিও চাল উৎপাদনে বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে আসছে সরকার।

গত ১২ বছর ধরে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে প্রতি বছর গড়ে ৩.৯ শতাংশ হারে। তারপরও সার্বিকভাবে কৃষিপণ্যের আমদানি কমছে না। চাল আমদানিতেই এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪.০৪ লাখ মে. টন চাল মজুত রয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পণ্যটির দাম কমেনি।

সরকারি হিসাব বলছে, গত এক বছরে সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ শতাংশের বেশি (৫ টাকা)।

এদিকে ডিম ও লবণের উৎপাদন দেশে হলেও আন্তর্জাতিক পণ্যমূল্যের তালে এই দুটির দামও বেড়েছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ১৭ শতাংশের বেশি (৫ টাকা)। গতবছর ডিমের হালি ছিল ৩০ টাকা। এখন ৩৫ টাকা হালি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে।

আবার গত বছর ২৫ টাকা কেজির লবণ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা

গত বছর ৯০০ টাকায় আমদানি করা এক কেজি লবঙ্গ পাওয়া গেছে। এখন সেটার দাম ১২০০ টাকা। টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরে লবঙ্গের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০০ টাকা।

৮ পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে

গত এক বছরে কেজিতে ১০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা ৮টি। আমদানি করা পণ্যগুলো হচ্ছে চিনি, প্যাকেট আটা, প্যাকেট ময়দা, ছোলা, অ্যাংকর ডাল, ধনিয়া ও ফ্রেশ গুঁড়া দুধ।

এছাড়া কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে খোলা ময়দার। এর মধ্যে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। তবুও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে চিনির দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। গত বছরের ৭০ টাকা কেজির চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পণ্যটির বাজার এখন পুরোটাই বেসরকারি খাতের নিয়ন্ত্রণে।

দেশে মোট চিনির চাহিদা কম-বেশি প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। তার মাত্র ১.৫ শতাংশ সরবরাহ করছে সরকারি চিনিকলগুলো। বাকি চাহিদা মেটাতে হয় আমদানির মাধ্যমে।

যুদ্ধের প্রভাব আটা-ময়দার দামে

টিসিবির হিসাবে আটার দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ময়দার দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ। অ্যাংকর ডালের দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে গত অর্থবছর ৫৩ লাখ ৪২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার আমদানি করেছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার টন। বাকিটা এসেছে বেসরকারি খাত থেকে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে প্রায় ২৩ লাখ টন গম আমদানি করা হয়েছে।

সাধারণত, চাহিদা মেটাতে দেশে গমের প্রয়োজন বছরে ৭০ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হয় মাত্র ১২ লাখ টন।

অনেকেই বলছেন, চালের দাম বেশি হওয়ায় অনেক দরিদ্র মানুষ দুবেলা রুটি খাচ্ছেন। এছাড়া রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে আটা থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে। পাশাপাশি যারা স্বাস্থ্য-সচেতন, তারাও ভাতের পরিবর্তে আটার তৈরি খাদ্য খাচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাব বলছে, বিশ্বের যে কয়টি দেশে সবচেয়ে দ্রুত গমের আমদানি বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এমনিতে গম আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

তথ্য বলছে, গত তিন মাস ধরে বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী গমের দাম। সম্প্রতি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর তা আরও চড়তে শুরু করেছে।

টিসিবির প্রতিবেদন বলছে, খুচরায় প্রতি কেজি প্যাকেট আটা ও ময়দার দাম এখন ৪৫ ও ৫৮ টাকা। এক বছর আগে ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৪৫ টাকা।

ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, চার-পাঁচ মাস আগে বিশ্ববাজারে গমের দাম ছিল প্রতি টন ৩২০ ডলার। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর ৫২০ ডলার হয়েছে।

শীর্ষস্থানীয় গম রফতানিকারক দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ লাগাকে কেন্দ্র করে গমের দাম গত তিন মাসে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি মিল মালিকদের।

গুরুত্বপূর্ণ ১৪ পণ্য

টিসিবির হিসাবে গত এক বছরে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে এমন পণ্যের সংখ্যা চারটি। আর ২৯ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ১০টি পণ্যের দাম। মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়ার তালিকায় আছে গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি পণ্য।

সয়াবিন তেল

খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ৩০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে ১২৫ টাকা লিটার ছিল খোলা সয়াবিন। এখন ১৫৫ টাকা।

টিসিবির হিসাবে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশের বেশি। এক লিটার ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশের মতো।

এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা।  আর পাঁচ লিটারের বেড়েছে ১১০ টাকা।

খোলা পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৩২ টাকা। গত বছরের ১১২ টাকা লিটারের পাম অয়েল এখন ১৪৪ টাকা।

যদিও ভোজ্যতেলের উৎপাদন, খুচরা ও আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে।

ভোজ্যতেলের আমদানি খরচ

দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে সয়াবিন তেলের ব্যবহার বেশি। ঢাকার পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা বলেছেন, বোতলজাত তেলের বিক্রি বেশি।

বাংলাদেশে ভোজ্যতেল তথা তেলবীজের মোট উৎপাদন ৫ লাখ ৬০ হাজার টন। বার্ষিক চাহিদা ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৮ টন। উৎপাদিত তেলবীজের ৬৪ শতাংশ সরিষা। বাকি ৩৬ শতাংশে রয়েছে সয়াবিন, বাদাম, তিল, তিসি ও সূর্যমুখীর।

প্রতি বছর ভোজ্যতেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর আমদানিও বেড়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ভোজ্যতেল ও তেলবীজ আমদানির খরচ ছিল ১ হাজার ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে হয়েছে ২৪১৬ মিলিয়ন ডলার।

মসুর ডাল

বাজারে সাধারণত দেশি ও বিদেশি—এই দুই ধরনের মসুর ডাল পাওয়া যায়। যা মূলত ভারত থেকে আমদানি হয়। দামে কিছুটা সস্তা বলে বিদেশি মসুর ডালের বিক্রি বেশি হয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

টিসিবির তথ্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আমদানি করা মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। এক বছরে কেজিতে ৩৫ টাকা বেড়েছে বড় দানার মসুর।

গত বছরের ৭০ টাকা কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। গত বছরের ৯০ টাকা কেজি দরের মাঝারি আকারের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজি দরে।

আমদানি করা মসুর ডাল কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ছোট দানা (দেশি) মসুরের দামও বেড়েছে ২০ টাকার মতো।

ডালের বর্তমান উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টন। এর মধ্যে মুগ এবং মসুর ডালের হিস্যা প্রায় ৬০ শতাংশ। বাকি খেসারি, ছোলা, মাসকলাই, মটর, অড়হর ও ফেলন।

মসুরের উৎপাদন ক্রমে বাড়ছে। তবু বছরে আমদানি করা হয় ৮ থেকে ৯ লাখ টন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মসুর ডাল। বাকি ছোলা ও অন্যান্য।

ডাল আমদানির খরচ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৫৯০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ডানো গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। গত বছরের ৬৫০ টাকার গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

আমদানি করা শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। আগের বছরের ৩০০ টাকার মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

দারুচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। গত বছর ছিল ৪৫০ টাকা। এখন ৫০০ টাকা। তেজপাতার বেড়েছে ৩০ টাকা এবং জিরার বেড়েছে ৮০ টাকা।

টিসিবির হিসাবে গত বছরের ৪০০ টাকা কেজির জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া গুঁড়া দুধ ডিপ্লোমা ও মার্কস-এর দাম বেড়েছে ৬০ টাকা করে।

কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে

আমদানি পণ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনও কারণ ছাড়াই বেশ কিছু দেশি পণ্যের দামও বেড়েছে।

গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ১১০ টাকা।

দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ১০০ টাকা, দেশি হলুদের বেড়েছে ৩০ টাকা, দেশি আদার ২০ টাকা, রুই মাছের বেড়েছে ৫০ টাকা।

সবজির দাম বেড়েছে যে কারণে

রমজানের শুরুতে বেগুনের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। লেবুর হালি হয় ৫০ টাকা। শসার কেজি ৯০ টাকা। কিন্তু কৃষক পায় এর অর্ধেকেরও কম দাম।

গ্রামে উৎপাদিত পণ্যের দাম ঢাকায় এসে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সবজি বাজার

গত ৪ এপ্রিল দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।

টিপু মুনশি বলেন, গত সপ্তাহে রংপুরে ১০ টাকা দরে যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ঢাকায় সেটা ৬০ টাকা। একই অবস্থা অন্য শাকসবজিতেও।

এ পরিস্থিতি দূর করতে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।

290 ভিউ

Posted ৮:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com