কক্সবাংলা ডটকম(১২ সেপ্টেম্বর) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের সার্বিক প্রস্তুতির কাজ গুছিয়ে এনেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, তাতে কাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে—এসব বিষয়ে অবস্থান চূড়ান্ত করেছে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়।নির্বাচনে শতাধিক আসনের জন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬৭ জনের নাম জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে ওই সব আসনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠ গোছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া বেশির ভাগ নেতাই বর্তমানে সংসদ সদস্য। বেশ কয়েকজন তরুণ জনপ্রিয় মুখও আছেন, যাঁরা প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা।
ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা জানান, আগামী নির্বাচনে শতাধিক আসনে প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে তাঁদের মনোনয়ন বিএনপি নির্বাচনে এলেও পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি নির্বাচন করবে ধরে নিয়েই এই তালিকা করা হয়েছে।
দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে মনোনয়ন দিইনি। তবে যাঁদের অবস্থা ভালো এ রকম অনেককে বলা হয়েছে, আমাদের লিডার (শেখ হাসিনা) আভাস-ইঙ্গিত দিয়েছেন।’ অক্টোবরে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, আগেরবারের আদলে এবার নির্বাচনকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে তাতে বিএনপির কাউকে রাখা হবে না। সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়েই ছোট আকারের সরকার হবে। আর নির্বাচনকালে বর্তমান সংসদও বহাল থাকবে। সংসদের চলতি অধিবেশন অক্টোবর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অক্টোবরের মাঝামাঝি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারে বাইরের কেউ আসবে না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি, টেকনোক্র্যাট কেউ আসবে না। আকারটা ছোট হবে।’
আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিভিন্ন আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম জানা গেছে তাঁরা হলেন—
দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নওগাঁ-৬ ইস্রাফিল আলম, রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, নাটোর-৩ জুনাইদ আহেমদ পলক, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুবউল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ারদার সেলুন, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ,
মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, খুলনা-২ মিজানুর রহমান, খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার, পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, টাঙ্গাইল-১ ড. আবদুর রাজ্জাক, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৭ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন,
নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, ফরিদপুর-১ আবদুর রহমান, ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফর উল্যাহ, গোপালগঞ্জ-১ মুহম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূরে আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, শরীয়তপুর-১ বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-৪ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রাম-৭ ড. হাছান মাহমুদ, বান্দরবান বীর বাহাদুর উশৈ সিং।
এ ছাড়া দলীয় প্রয়োজনেই এবার নিবার্চনে বেশ কিছু তরুণকে প্রাথীর্ করা হবে। যারা এবারই প্রথম ভোট করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার জনপ্রিয় ব্যক্তিদের আনা হবে। বিএনপি ভোটে এলে জোটের আকার বাড়িয়ে শরিকদের জন্য কিছুটা ছাড় দেয়া হতে পারে।
যদিও স্থানীয় বা জাতীয়ভাবে সুখ্যাতি না থাকলেও দলের প্রয়োজনে বেশ কয়েকজন বিতকির্ত ব্যক্তিকে শেষ পযর্ন্ত দলীয় টিকিট দেয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোডের্র একজন সদস্য বলেছেন, তৃণমূল থেকে আসা নামের ভিত্তিতে মনোনয়ন
দেয়া হবে। তবে দলীয়প্রধান বিভিন্ন উৎস থেকে একটি ধারণা নিয়ে রেখেছেন। সেখানে সংসদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সাংসদ, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী স্থানীয়ভাবে দলে ও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন বলে ধারণা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এ কারণে প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য মৌখিকভাবে বলে দিয়েছেন। নয়ত তারা মনোনয়ন পাবেন না।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোডের্র একজন সদস্য বলেন, তাদের দল ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী নিবার্চনে আওয়ামী লীগকে নিয়েই বেশি সমালোচনা হবে। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব চাইছে, প্রাথীর্ বাছাইয়ে অন্য দলগুলোর চেয়ে নিজেদের এগিয়ে রেখে ভোটের শুরুতেই মানুষকে চমক দিতে। তাই যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের সম্পকের্ জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, আওয়ামী লীগ তাদের মনোনয়নপ্রাপ্তির তালিকা থেকে দূরে রাখবে।
ওই নেতা বলেন, এবার মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান মাপকাঠি ধরা হয়েছে স্থানীয়ভাবে প্রাথীর্র ‘জনপ্রিয়তা’কে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় কিছু পেশাজীবীকে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। আর বিএনপি ভোটে এলে জোটের শরিকদের জন্য বেশ কিছু আসন ছাড়তে হবে। এ কারণে ২০১৪ সালের নিবার্চনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ভোট করে জিতে আসা প্রাথীের্দর মধ্যে অন্তত ১০০ জন আগামী নিবার্চনে মনোনয়ন পাবেন না। বাদ পড়ার তালিকায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীও থাকবেন বেশ কয়েকজন।
বতর্মান সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ ২৩৩ জন। অন্যরা জাতীয় পাটির্, জাসদ, ওয়াকার্সর্ পাটির্, তরিকত ফেডারেশন, বিএনএফ এবং স্বতন্ত্র সাংসদ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী নিবার্চনে শরিকদের জন্য ৭০টির মতো আসনে ছাড় দেয়া হবে। আর মনোনয়ন দেয়ার মাপকাঠি হবে প্রাথীর্রা জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু বা তার জনপ্রিয়তা কেমন, তার ওপর। গত নিবার্চনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় জিতে আসা প্রাথীের্দর অনেকেই থাকবেন বেশি ঝুঁকিতে। অথার্ৎ, মনোনয়ন না পাওয়ার তালিকায় তাদের সংখ্যাই বেশি হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শতের্ বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ হয়েছেনÑ এমন শতাধিক নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে দলের মনোনয়ন পাবেন না। এই তালিকায় বতর্মানে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমযার্দার অনেকে রয়েছেন। তাদের বাদ পড়ার মূল কারণ হতে পারে তারা এলাকা এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। এলাকার জনগণের মধ্যে তাদের বিষয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এই নেতারা দলীয় এবং সরকারি কাজের চেয়ে ‘নিজেদের দিকে’ নজর দিয়েছেন বেশি, যার কারণে তারা এবার মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন। এ ছাড়া বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত সাংসদদের নিজেদের সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সভাপতিমÐলীর ওই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নিবার্চনে মনোনয়ন দেয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের মানদÐ থাকে। যে প্রাথীর্ নিদির্ষ্ট মানদÐ পূরণ করতে পারেননি, তাদের বদলে নতুন প্রাথীর্ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও সে রকম হতে পারে।
সংসদ নিবার্চনে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচাযর্ বলেন, ‘যাদের পজিশন খারাপ হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে দুনীির্তর অভিযোগ আছে, তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। এটিই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, এলাকায় যাদের দুনার্ম আছে, জনগণের সমথর্ন নেই, তারা মনোনয়ন পাবেন না। বিএনপি নিবার্চনে অংশগ্রহণ করলে নিবার্চন প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূণর্ হবে বলেও তিনি মনে করেন। সে ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারেও অনেক বেশি হিসাব-নিকাশ হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুনীির্তর মামলায় দÐিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিএনপি নিবার্চনে যাবে কিনা, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করেনি দলটি। এ ছাড়া দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সাজাপ্রাপ্ত। তিনি বতর্মানে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বসবাস করছেন। বিএনপির দুটি প্রধান গুরুত্বপূণর্ পদের নেতা দলে না থাকলেও বিএনপির নেতারা নিবার্চনে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক। এর আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নিবার্চন কমিশনে (ইসি) গিয়ে নিবার্চনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সামনে রেখে নিবার্চনী প্রচারের কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিভাগীয় ও জেলা শহর সফর করেছেন। এসব সফরে তিনি দলের হয়ে জনগণের কাছে ভোট চেয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে আরেকবার ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। শনিবার আওয়ামী লীগের উত্তরাঞ্চল সফরকে ‘নিবার্চনী যাত্রা’ বলেই উল্লেখ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, দীঘির্দন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকমীের্দর ভেতরের বিভেদ অনেকটা প্রকাশ্য। কোনো কোনো জেলায় বিভেদ এত বেশি যে, সেসব জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘষের্র ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের এড়িয়ে সাংগঠনিক কাজ করা, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে দলের বিপক্ষে কাজ করা, দলের চাওয়া অনুযায়ী কাজ না করে নিষ্ক্রিয় থাকাÑ এসব বিষয় সামনে রেখে আওয়ামী লীগ জাতীয় নিবার্চনে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে।
এর আগে বিভিন্ন সময় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, এবার নিবার্চনে তিনি কাউকে পার করিয়ে আনতে পারবেন না। এ ছাড়া অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুনীির্তর অভিযোগও রয়েছে। দুনীির্তর বিষয়ে আওয়ামী লীগ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেয়ার কারণে এবার যাদের বিরুদ্ধে দুনীির্তর অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তারাও আর মনোনয়ন পাবেন না।
Posted ৩:১৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta