মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(৪ এপ্রিল) :: কক্সবাজার ঈদগাঁওর এক যুবতী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ফৌজদারী দরখাস্ত দাখিল করেছেন। স্থানীয় দক্ষিণ দরগাহ পাড়ার গুরা মিয়ার ষোড়শী কন্যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারামতে এ দরখাস্তটি করেছেন। এতে একই এলাকার মৃত ওয়ারেছ আহমদের পুত্র নুর মোহাম্মদ, হাফেজ আহমদ ও দিল মোহাম্মদকে আসামী করা হয়েছে।
বাদী তার আরজিতে জানান, উপরোক্ত নুর মোহাম্মদ তার অপর সহযোগীদের নিয়ে তাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে। রাতে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে বাইরে বের হলে তাকে সিএনজিতে তুলে নেয়া হয়। পরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রেখে পরপর ২দিন ধর্ষণ করে। এতে সে বুকে এবং দু’উরুতে জখম প্রাপ্ত হয়। এর কয়েকদিন পর তাকে ঐ যুবকের বাড়িতে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করেন। এ সংক্রান্ত ঘটনায় যুবতী ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কেন্দ্র এসআই দেবাশীষ সরকার সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শোনেন।
বিষয়টি সেখানে সমাধা না হওয়ায় ঐ যুবতী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ফৌজদারী দরখাস্ত দাখিল করে। আদালত বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের জন্য কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন এর কর্মকর্তা এসআই শরিফ উল্লাহকে দায়িত্ব দেন।
এর আগে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সোহেল জাহান চৌধুরীর নিকট বিষয়টি বিচারাধীন থাকলেও সেখানে কোন সূরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।
জানতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এসআই দেবাশীষ সরকার জানান, উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনে মনে হয়েছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তাদেরকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে পিবিআইএর এসআই শরিফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি প্রায় ২ মাস আগের। দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আমি সরেজমিন গিয়ে বাদী-বিবাদী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছেন বলে জানান।
Posted ১১:৪৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta