মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২ জানুয়ারি) ::উখিয়া শরনার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা ফার্মেসী ও রোহিঙ্গা চিকিৎসকের উপর উপজেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানের প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের ফার্মেসী ব্যবসা কুতুপালং বাজারে একটু কমলেও ক্যাম্পের ভিতরে তাদের তৎপরতা ঠিকই চলছে। এবার সড়কের আশে পাশে দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গা কবিরাজ। তারা বিভিন্ন বনজ ঔষুধের নামে সাধারন রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিনব প্রতারনা ও কৌশল অবলম্বন করে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানালেন, বার্মার কবিরাজের ঔষুধের গুনাগুন ভাল, কিন্তু কোন কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে মিয়ানমারের নাইছ্যাদং গ্রামের এই কবিরাজ আশরাফ মিয়া জানালেন, সে আজ ২০ বছর ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় বনজ লতা পাতার ঔষুধ বিক্রি করে আসছে। তার ঔষুধ খেয়ে অনেকেই ভাল হয়েছে।
কুতুপালং বাজারের ভিতরে ও প্রধান সড়কের আশে পাশে দেখা গেছে লতাপাতা ও বোতল ভর্তি তরল ঔষুধ নিয়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন কবিরাজ।
তৎমধ্যে মংডু সাহাব বাজার এলাকার কবিরাজ মিয়াজান (৫৫) একই এরাকার আর এক কবিরাজ ফয়েজুল্লার সাথে আলাপ হয় তাদের কবিরাজি বানিজ্যের ব্যাপার নিয়ে এসব কবিরাজি কোথা থেকে শেখা হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের কাছে কবিরাজি বই আছে।
ঐ বই পড়ে বনজঙ্গল থেকে গাছ গাছালি সংগ্রহ করে ঔষুধ তৈরি করে থাকেন তবে এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিক কিছু পাশারি মিশ্রিত করতে হয়। তাদের ঔষুধে কি কি উপকার জানতে চাওয়া হইলে ঐ কবিরাজ জানায়, তাদের ঔষুধ সব ধরনের রোগ ভাল করে।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, এসব ধোকাবাজি। তাদের ঔষুধে কোন কাজ হয় না। ঐ রোহিঙ্গা নেতা জানান, প্রধান সড়কে ছাড়াও ক্যাম্পের আনাচে কানাচে শত শত কবিরাজ গাছের লতাপাতা ও বোতলজাত ঔষুধ নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের সাথে প্রতারনা করছে। কোন অফিসার গেলে তারা ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও উখিয়ার হাট-বাজরে কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া ভিন্ন পেশার মানুষ কবিরাজি পেশায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পে কোন ধরনের কবিরাজি ঔষুধ বিক্রি করা যাবে না। তিনি বলেন, এমনকি রোহিঙ্গাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেবার প্রক্রিয়া চলছে। সেনাবাহীনি কর্তৃক নির্মানাধীন কাটাঁ তারের বেড়া নির্মান সম্পন্ন হলে রোহিঙ্গাদের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রন করা হবে।